শ্বসন কী?
Share
Join ProshnoUttor today! Ask, answer, and share knowledge—earn points, revenue, and rewards while learning with a global community. Sign up now and start your journey!
Welcome back to ProshnoUttor! Log in to explore, contribute, and earn rewards while learning with our global community. Let’s get started!
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
শ্বসন (Respiration) হলো একটি জৈবিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে জীবন্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো খাদ্য এবং অক্সিজেনের সাহায্যে শক্তি উৎপন্ন করে। এটি সেলের ভেতরে ঘটে এবং শক্তি উৎপাদনের জন্য অক্সিজেন ব্যবহৃত হয়, যার ফলে কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং পানি উৎপন্ন হয়। এই প্রক্রিয়া জীবের সেলুলার কার্যক্রম চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে।
শ্বসনকে সাধারণত দুটি প্রধান শ্রেণিতে ভাগ করা যায়:
অ্যারোবিক শ্বসন (Aerobic Respiration)
অ্যানারোবিক শ্বসন (Anaerobic Respiration)
অ্যারোবিক শ্বসন (Aerobic Respiration)
এটি এমন এক প্রক্রিয়া যেখানে অক্সিজেনের উপস্থিতিতে শক্তি উৎপন্ন হয়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্লুকোজ (C₆H₁₂O₆) এবং অক্সিজেন (O₂) মিশে শক্তি, কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO₂) এবং পানি (H₂O) উৎপন্ন করে।
এটি তিনটি প্রধান ধাপে ঘটে:
গ্লাইকোলিসিস: সাইটোপ্লাজমে গ্লুকোজ ভেঙে ২টি পিরুভেট মলিকিউল তৈরি হয়।
ক্রেবস সাইকেল: মাইটোকন্ড্রিয়াতে পিরুভেট ভেঙে শক্তি উৎপন্ন হয়।
অক্সিডেটিভ ফসফোরিলেশন: মাইটোকন্ড্রিয়ার অভ্যন্তরে অক্সিজেনের সাহায্যে শক্তি উৎপন্ন হয়।
প্রতিক্রিয়া:
C₆H₁₂O₆ + 6O₂ → 6CO₂ + 6H₂O + শক্তি (ATP)
অ্যানারোবিক শ্বসন (Anaerobic Respiration)
এটি একটি প্রক্রিয়া যেখানে অক্সিজেনের অভাবে শক্তি উৎপন্ন হয়। এখানে গ্লুকোজের পরিপূর্ণ পরিসমাপ্তি না ঘটে এবং কম শক্তি উৎপন্ন হয়। এই প্রক্রিয়াটি সাধারণত কিছু বিশেষ ধরনের জীবাণু বা উদ্ভিদ এবং পেশির মধ্যে ঘটে যখন অক্সিজেন পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায় না।
এটি দুটি প্রধান ধাপে ঘটে:
গ্লাইকোলিসিস: গ্লুকোজ ভেঙে ২টি পিরুভেট তৈরি হয়।
ফারমেন্টেশন: পিরুভেটের অপ্রাপ্ত অক্সিডেশন হয় এবং শক্তি উৎপন্ন হয়, কিন্তু কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং অন্য কোনো উপাদান হিসেবে এটি শেষ হয়।
প্রতিক্রিয়া:
ইথানল ফারমেন্টেশন:
C₆H₁₂O₆ → 2C₂H₅OH + 2CO₂ + শক্তি (ATP)
ল্যাকটিক অ্যাসিড ফারমেন্টেশন:
C₆H₁₂O₆ → 2C₃H₆O₃ + শক্তি (ATP)
শ্বসনের গুরুত্ব:
শক্তির উৎপাদন: শ্বসন জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি শর্করা, ফ্যাট এবং প্রোটিনের মত খাদ্য উপাদান থেকে শক্তি তৈরি করে।
পেশি সংকোচন: শ্বসনের মাধ্যমে উৎপন্ন শক্তি পেশির সংকোচনে সাহায্য করে।
বায়োশিল্পে ব্যবহার: বিভিন্ন ধরনের ফারমেন্টেশন প্রক্রিয়া খাদ্য এবং পানীয় উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়, যেমন ইথানল উৎপাদন, দই ও মদ প্রস্তুতিতে।
শ্বসন (Respiration) হলো একটি জীববৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে জীবিত কোষগুলো অক্সিজেনের উপস্থিতিতে খাদ্য পদার্থ যেমন গ্লুকোজকে ভেঙে শক্তি উৎপন্ন করে। শ্বসনের মাধ্যমে উৎপন্ন শক্তি কোষের বিভিন্ন কার্যক্রম চালানোর জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন সেল ডিভিশন, সেল মুভমেন্ট এবং অন্যান্য জীববৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া।
শ্বসন দুটি প্রধান ধরনের হয়ে থাকে:
অ্যারোবিক শ্বসন (Aerobic Respiration) – অক্সিজেনের উপস্থিতিতে শ্বসন
অ্যানারোবিক শ্বসন (Anaerobic Respiration) – অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে শ্বসন
অ্যারোবিক শ্বসন (Aerobic Respiration) – অক্সিজেনের উপস্থিতিতে শ্বসন
অ্যারোবিক শ্বসন হলো একটি শক্তি উৎপাদন প্রক্রিয়া যেখানে অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। এটি মাইটোকন্ড্রিয়া নামে কোষের একটি অঙ্গাণুর মধ্যে ঘটে এবং গ্লুকোজের পূর্ণ অক্সিডেশন হয়। এই প্রক্রিয়ায় অনেক বেশি শক্তি উৎপন্ন হয়।
প্রক্রিয়া:
গ্লাইকোলিসিস: গ্লুকোজ (C₆H₁₂O₆) সাইটোপ্লাজমে ভেঙে ২টি পিরুভেট তৈরি হয়। এই প্রক্রিয়ায় কিছু শক্তি (ATP) তৈরি হয়।
ক্রেবস সাইকেল: পিরুভেট মাইটোকন্ড্রিয়াতে প্রবেশ করে এবং আরো শক্তি উৎপন্ন হয়। এটি অ্যাসিটাইল-কোএ তৈরি করে যা শক্তির (ATP) উৎপাদনকে আরও বাড়ায়।
অক্সিডেটিভ ফসফোরিলেশন: অক্সিজেনের উপস্থিতিতে মাইটোকন্ড্রিয়ার অভ্যন্তরে শক্তি (ATP) উৎপন্ন হয় এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড ও পানি উৎপন্ন হয়।
প্রতিক্রিয়া: C₆H₁₂O₆ + 6O₂ → 6CO₂ + 6H₂O + শক্তি (ATP)
এই প্রক্রিয়ায় বেশি শক্তি (ATP) উৎপন্ন হয়, যা কোষের জীববৈজ্ঞানিক কার্যক্রম চালানোর জন্য ব্যবহার হয়।
অ্যানারোবিক শ্বসন (Anaerobic Respiration) – অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে শ্বসন
অ্যানারোবিক শ্বসন হলো একটি শক্তি উৎপাদন প্রক্রিয়া যা অক্সিজেন ছাড়াই ঘটে। এই প্রক্রিয়ায়, গ্লুকোজের পরিপূর্ণ অক্সিডেশন হয় না, এবং কম শক্তি উৎপন্ন হয়। এটি সাধারণত কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে ঘটে, যেমন অক্সিজেনের অভাবে বা উচ্চ তাপমাত্রায়। উদ্ভিদ এবং কিছু প্রাণী (যেমন ব্যাকটেরিয়া, ইয়ারস্ট) এই ধরনের শ্বসন করে থাকে।
প্রক্রিয়া:
গ্লাইকোলিসিস: গ্লুকোজ ভেঙে ২টি পিরুভেট তৈরি হয়।
ফারমেন্টেশন: পিরুভেট মলিকিউল অক্সিজেনের অভাবে অন্য উপাদানে পরিবর্তিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, ইথানল বা ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরি হয়।
প্রতিক্রিয়া (ইথানল ফারমেন্টেশন): C₆H₁₂O₆ → 2C₂H₅OH + 2CO₂ + শক্তি (ATP)
প্রতিক্রিয়া (ল্যাকটিক অ্যাসিড ফারমেন্টেশন): C₆H₁₂O₆ → 2C₃H₆O₃ + শক্তি (ATP)
এই প্রক্রিয়ায় শক্তি কম উৎপন্ন হয়, তবে জরুরি পরিস্থিতিতে কোষগুলো শক্তি পেতে এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে।
শ্বসনের গুরুত্ব:
শক্তির উৎপাদন: শ্বসনের মাধ্যমে উদ্ভিদ, প্রাণী এবং অন্যান্য জীবিত কোষ শক্তি উৎপন্ন করে যা তাদের সেলুলার কার্যক্রম চালানোর জন্য প্রয়োজনীয়।
পেশি সংকোচন: শ্বসন থেকে উৎপন্ন শক্তি পেশির সংকোচন (muscle contraction) সহ বিভিন্ন জীববৈজ্ঞানিক কার্যক্রমে সহায়তা করে।
জীববিজ্ঞানী কাজে ব্যবহার: শ্বসন প্রক্রিয়া বিভিন্ন ধরনের জীববৈজ্ঞানিক এবং বায়ো-প্রযুক্তির কাজে ব্যবহৃত হয়। যেমন, ফারমেন্টেশন প্রক্রিয়া দ্বারা মদ, দই ও অন্যান্য খাদ্য তৈরি করা হয়।
শ্বসন হলো জীবিত কোষের একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে খাদ্য পদার্থ যেমন গ্লুকোজ অক্সিজেনের উপস্থিতিতে ভেঙে শক্তি (ATP) উৎপন্ন হয়। এটি কোষের জীববৈজ্ঞানিক কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে। শ্বসন দুটি প্রধান প্রকারে ভাগ করা হয়: অ্যারোবিক শ্বসন (অক্সিজেনের উপস্থিতিতে) এবং অ্যানারোবিক শ্বসন (অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে)।