ইউনিকোডের পূর্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত আলফানিউমেরিক্যাল কোডটি ব্যাখ্যা কর।
Tanjina HaqueCurious Learner
ইউনিকোডের পূর্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত আলফানিউমেরিক্যাল কোডটি ব্যাখ্যা কর।
Share
ইউনিকোডের পূর্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত আলফানিউমেরিক্যাল কোডটি হলো ASCII (American Standard Code for Information Interchange)। এটি একটি ক্যারেক্টার এনকোডিং স্কিম যা ইংরেজি অক্ষর, সংখ্যা ও কিছু বিশেষ চিহ্ন কম্পিউটারে উপস্থাপন করতে ব্যবহৃত হতো।
ASCII কোডের বৈশিষ্ট্যসমূহ:
সীমিত ক্যারেক্টার সংখ্যা: ASCII মোট ১২৮টি ক্যারেক্টার সাপোর্ট করে (০ থেকে ১২৭ পর্যন্ত)।
৭-বিট ভিত্তিক: প্রতিটি ASCII ক্যারেক্টার ৭-বিট দ্বারা উপস্থাপিত হয়। তবে আধুনিক কম্পিউটারে ৮-বিটে (১ বাইট) এটি সংরক্ষিত হয়।
ব্যবহারযোগ্যতা: এতে ইংরেজি বড় ও ছোট অক্ষর (A–Z, a–z), সংখ্যা (0–9), কিছু বিরামচিহ্ন এবং কন্ট্রোল ক্যারেক্টার অন্তর্ভুক্ত ছিল।
সীমাবদ্ধতা: ASCII কেবল ইংরেজি ভাষার জন্য উপযুক্ত ছিল, তাই অন্যান্য ভাষার অক্ষর সমর্থন করত না।
ASCII কোড ছিল সহজ ও কার্যকর, কিন্তু বিভিন্ন ভাষা ও স্ক্রিপ্ট সমর্থনে অক্ষম হওয়ায় পরবর্তীতে ইউনিকোড চালু করা হয়, যা বিশ্বের প্রায় সব ভাষার অক্ষর এনকোড করতে সক্ষম।
ইউনিকোড চালুর পূর্বে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত আলফানিউমেরিক্যাল কোড ছিল ASCII (American Standard Code for Information Interchange)। এটি 1960 সালের দিকে আমেরিকান ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টিটিউট (ANSI) কর্তৃক প্রবর্তিত হয় এবং কম্পিউটার ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড কোড হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে।
ASCII কোডের বিবরণ:
ক্যারেক্টার সংখ্যা:
ASCII মোট ১২৮টি ক্যারেক্টার সাপোর্ট করে। এর মধ্যে:
৩৩টি কন্ট্রোল ক্যারেক্টার (যেমন: Enter, Backspace, Tab ইত্যাদি)
৯৫টি প্রিন্টেবল ক্যারেক্টার (যেমন: A–Z, a–z, 0–9, বিভিন্ন চিহ্ন)
বিট ব্যবহার:
ASCII একটি ৭-বিট কোড, অর্থাৎ প্রতিটি ক্যারেক্টার বাইনারি রূপে ৭-বিট দ্বারা প্রকাশ করা হয় (যেমনঃ A = 1000001)। যদিও অধিকাংশ কম্পিউটার ৮-বিট (১ বাইট) ব্যবহার করে, তবুও ASCII-র আসল রূপ ৭-বিট ভিত্তিক।
আলফানিউমেরিক্যাল কাভারেজ:
ASCII কোডে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল:
বড় হাতের ইংরেজি অক্ষর (A–Z): ASCII মান 65–90
ছোট হাতের ইংরেজি অক্ষর (a–z): ASCII মান 97–122
সংখ্যা (0–9): ASCII মান 48–57
বিশেষ চিহ্ন ও সিম্বলস: যেমন @, #, $, %, &, *, (, ), +, ইত্যাদি
কন্ট্রোল ক্যারেক্টার: যেমন Null, Backspace, Carriage Return ইত্যাদি
ASCII কোড ব্যবহারের ক্ষেত্র:
কম্পিউটারে টেক্সট সংরক্ষণ ও প্রদর্শনে
ইন্টারনেট কমিউনিকেশন ও ডেটা ট্রান্সমিশনে
প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে ক্যারেক্টার ডেটা টাইপ হিসেবে
কী-বোর্ড ইনপুটের ভিত্তি হিসেবে
ASCII কোডের সীমাবদ্ধতা:
ASCII কেবলমাত্র ইংরেজি ভাষার অক্ষর, সংখ্যা ও কিছু নির্দিষ্ট চিহ্ন সাপোর্ট করে।
এতে বাংলা, চীনা, আরবি, হিন্দি বা অন্যান্য ভাষার অক্ষর সাপোর্ট করে না।
ফলে বৈশ্বিক তথ্য বিনিময়ে অসুবিধা হতো।
ASCII কোড একসময় আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত ও বহুল ব্যবহৃত ছিল। তবে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার অক্ষর সঠিকভাবে এনকোড করার জন্য ASCII পর্যাপ্ত ছিল না। এই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার জন্য Unicode চালু করা হয়, যা বর্তমানে বিভিন্ন ভাষা ও স্ক্রিপ্ট সাপোর্ট করে।
নিচে ASCII কোড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চার্ট ও টেবিল আকারে সাজিয়ে দেওয়া হলো, যাতে নোট তৈরি করা বা মুখস্থ করা সহজ হয়:
🧾 ASCII কোড সম্পর্কে টেবিলভিত্তিক নোট
২. প্রিন্টেবল ক্যারেক্টার (৩২–১২৭)
– প্রোগ্রামিং
– টেক্সট ফাইল
– নেটওয়ার্ক কমিউনিকেশন
– বাংলা বা অন্যান্য ভাষার জন্য উপযোগী নয়
🔡 ASCII মানের কিছু উদাহরণ (সংক্ষেপে):