Join ProshnoUttor today! Ask, answer, and share knowledge—earn points, revenue, and rewards while learning with a global community. Sign up now and start your journey!
Welcome back to ProshnoUttor! Log in to explore, contribute, and earn rewards while learning with our global community. Let’s get started!
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
গাঁজন বলতে কী বোঝায়?
গাঁজন হলো একটি অবাত শ্বসন প্রক্রিয়া। এর মানে হলো, এই প্রক্রিয়াটি অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে ঘটে। গাঁজনে জটিল জৈব যৌগ, বিশেষ করে শর্করা (যেমন গ্লুকোজ), বিভিন্ন এনজাইম এর সহায়তায় ভেঙে সরল অণু তৈরি করে এবং এর সাথে সাথে শক্তি উৎপন্ন হয়। তবে সবাত শ্বসনের তুলনায় গাঁজনে উৎপন্ন শক্তির পরিমাণ অনেক কম। সহজRead more
গাঁজন হলো একটি অবাত শ্বসন প্রক্রিয়া। এর মানে হলো, এই প্রক্রিয়াটি অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে ঘটে। গাঁজনে জটিল জৈব যৌগ, বিশেষ করে শর্করা (যেমন গ্লুকোজ), বিভিন্ন এনজাইম এর সহায়তায় ভেঙে সরল অণু তৈরি করে এবং এর সাথে সাথে শক্তি উৎপন্ন হয়। তবে সবাত শ্বসনের তুলনায় গাঁজনে উৎপন্ন শক্তির পরিমাণ অনেক কম।
সহজভাবে বলতে গেলে, গাঁজন হলো অক্সিজেনের সাহায্য ছাড়াই জীবাণু (যেমন কিছু ব্যাকটেরিয়া ও ঈস্ট) কর্তৃক শর্করা বা অন্যান্য জৈব যৌগকে ভেঙে ফেলে শক্তি তৈরি করার পদ্ধতি। এই প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন উপজাত তৈরি হতে পারে, যেমন অ্যালকোহল (ইথানল), ল্যাকটিক অ্যাসিড, কার্বন ডাই অক্সাইড ইত্যাদি।
বিভিন্ন প্রকার গাঁজন দেখা যায়, যেমন:
গাঁজন প্রক্রিয়া খাদ্য উৎপাদন এবং অন্যান্য শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দই, পনির, রুটি, অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় ইত্যাদি তৈরিতে গাঁজন প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়।
See lessসালোকসংশ্লেষণ কী?
সালোকসংশ্লেষণ হল একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে উদ্ভিদ, শ্যাওলা এবং কিছু ব্যাকটেরিয়া সূর্যালোকের শক্তি ব্যবহার করে জল এবং কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে খাদ্য প্রস্তুত করে। এই প্রক্রিয়া প্রধানত উদ্ভিদের পাতায় সংঘটিত হয়, যেখানে সবুজ রঙ্গক ক্লোরোফিল উপস্থিত থাকে। এটি জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এRead more
সালোকসংশ্লেষণ হল একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে উদ্ভিদ, শ্যাওলা এবং কিছু ব্যাকটেরিয়া সূর্যালোকের শক্তি ব্যবহার করে জল এবং কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে খাদ্য প্রস্তুত করে। এই প্রক্রিয়া প্রধানত উদ্ভিদের পাতায় সংঘটিত হয়, যেখানে সবুজ রঙ্গক ক্লোরোফিল উপস্থিত থাকে। এটি জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি প্রাকৃতিক জ্বালানি এবং অক্সিজেনের উৎস সরবরাহ করে।
সালোকসংশ্লেষণের প্রক্রিয়া:
সালোকসংশ্লেষণের প্রধান উপাদানগুলি হল:
সূর্যালোকের শক্তি: এটি উদ্ভিদের জন্য প্রাথমিক শক্তির উৎস, যা সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার শুরু করে।
জল (H₂O): উদ্ভিদ রুটসিস্টেমের মাধ্যমে পানি শোষণ করে, যা সালোকসংশ্লেষণের জন্য প্রয়োজন।
কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂): উদ্ভিদ বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে, যা সালোকসংশ্লেষণের জন্য অপরিহার্য।
সালোকসংশ্লেষণের ধাপসমূহ:
১. প্রথম ধাপ (Light-dependent reactions):
এই ধাপটি ক্লোরোপ্লাস্টের থাইলাকয়েড মেমব্রেনে ঘটে। সূর্যালোকের শক্তি ক্লোরোফিল দ্বারা শোষিত হয় এবং পানি থেকে ইলেকট্রন বের হয়ে অক্সিজেন মুক্তি দেয়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ATP (Adenosine Triphosphate) এবং NADPH (Nicotinamide adenine dinucleotide phosphate) নামে শক্তির উৎস তৈরি হয়, যা পরবর্তী ধাপে ব্যবহৃত হয়।
২. দ্বিতীয় ধাপ (Calvin Cycle বা Light-independent reactions):
এই ধাপটি ক্লোরোপ্লাস্টের স্ট্রোমাতে ঘটে। এখানে ATP এবং NADPH দ্বারা শক্তি সরবরাহ পেয়ে কার্বন ডাই অক্সাইডকে গ্লুকোজে পরিণত করা হয়। গ্লুকোজ হলো প্রধান খাদ্য যা উদ্ভিদ তাদের জীববিজ্ঞানের কার্যক্রমে ব্যবহার করে এবং বেঁচে থাকার জন্য শক্তি লাভ করে।
সালোকসংশ্লেষণের রসায়নগত সমীকরণ:
6CO2+6H2O+সূর্যালোকশক্তি→C6H12O6+6O2
এখানে:
CO₂ হলো কার্বন ডাই অক্সাইড
H₂O হলো জল
C₆H₁₂O₆ হলো গ্লুকোজ
O₂ হলো অক্সিজেন
এই সমীকরণ থেকে দেখা যাচ্ছে যে, সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে উদ্ভিদ কার্বন ডাই অক্সাইড এবং পানি থেকে গ্লুকোজ (খাদ্য) এবং অক্সিজেন তৈরি করে।
সালোকসংশ্লেষণের গুরুত্ব:
খাদ্য উৎপাদন: সালোকসংশ্লেষণ হল প্রাথমিক খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া, যা গাছপালা এবং অন্যান্য উদ্ভিদজগৎ দ্বারা তৈরি খাদ্য সরাসরি বা পরোক্ষভাবে অন্যান্য জীবদের জন্য খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়।
অক্সিজেনের উৎস: সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় অক্সিজেন মুক্তি পায়, যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেনের পরিমাণ বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং আমাদের শ্বাস প্রশ্বাসের জন্য অপরিহার্য।
কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ: সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া পৃথিবী থেকে অতিরিক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে, যা গ্রীনহাউস গ্যাসের পরিমাণ কমাতে সহায়ক।
সারসংক্ষেপ:
সালোকসংশ্লেষণ হল একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে উদ্ভিদ সূর্যালোকের শক্তি ব্যবহার করে পানি এবং কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে গ্লুকোজ (খাদ্য) এবং অক্সিজেন তৈরি করে। এটি পৃথিবীতে খাদ্য উৎপাদনের প্রাথমিক উৎস এবং জীবজগতের জন্য অক্সিজেন সরবরাহের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
See lessশ্বসন কী?
শ্বসন (Respiration) হলো একটি জীববৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে জীবিত কোষগুলো অক্সিজেনের উপস্থিতিতে খাদ্য পদার্থ যেমন গ্লুকোজকে ভেঙে শক্তি উৎপন্ন করে। শ্বসনের মাধ্যমে উৎপন্ন শক্তি কোষের বিভিন্ন কার্যক্রম চালানোর জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন সেল ডিভিশন, সেল মুভমেন্ট এবং অন্যান্য জীববৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া। শ্বসRead more
শ্বসন (Respiration) হলো একটি জীববৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে জীবিত কোষগুলো অক্সিজেনের উপস্থিতিতে খাদ্য পদার্থ যেমন গ্লুকোজকে ভেঙে শক্তি উৎপন্ন করে। শ্বসনের মাধ্যমে উৎপন্ন শক্তি কোষের বিভিন্ন কার্যক্রম চালানোর জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন সেল ডিভিশন, সেল মুভমেন্ট এবং অন্যান্য জীববৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া।
শ্বসন দুটি প্রধান ধরনের হয়ে থাকে:
অ্যারোবিক শ্বসন (Aerobic Respiration) – অক্সিজেনের উপস্থিতিতে শ্বসন
অ্যানারোবিক শ্বসন (Anaerobic Respiration) – অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে শ্বসন
অ্যারোবিক শ্বসন (Aerobic Respiration) – অক্সিজেনের উপস্থিতিতে শ্বসন
অ্যারোবিক শ্বসন হলো একটি শক্তি উৎপাদন প্রক্রিয়া যেখানে অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। এটি মাইটোকন্ড্রিয়া নামে কোষের একটি অঙ্গাণুর মধ্যে ঘটে এবং গ্লুকোজের পূর্ণ অক্সিডেশন হয়। এই প্রক্রিয়ায় অনেক বেশি শক্তি উৎপন্ন হয়।
প্রক্রিয়া:
গ্লাইকোলিসিস: গ্লুকোজ (C₆H₁₂O₆) সাইটোপ্লাজমে ভেঙে ২টি পিরুভেট তৈরি হয়। এই প্রক্রিয়ায় কিছু শক্তি (ATP) তৈরি হয়।
ক্রেবস সাইকেল: পিরুভেট মাইটোকন্ড্রিয়াতে প্রবেশ করে এবং আরো শক্তি উৎপন্ন হয়। এটি অ্যাসিটাইল-কোএ তৈরি করে যা শক্তির (ATP) উৎপাদনকে আরও বাড়ায়।
অক্সিডেটিভ ফসফোরিলেশন: অক্সিজেনের উপস্থিতিতে মাইটোকন্ড্রিয়ার অভ্যন্তরে শক্তি (ATP) উৎপন্ন হয় এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড ও পানি উৎপন্ন হয়।
প্রতিক্রিয়া: C₆H₁₂O₆ + 6O₂ → 6CO₂ + 6H₂O + শক্তি (ATP)
এই প্রক্রিয়ায় বেশি শক্তি (ATP) উৎপন্ন হয়, যা কোষের জীববৈজ্ঞানিক কার্যক্রম চালানোর জন্য ব্যবহার হয়।
অ্যানারোবিক শ্বসন (Anaerobic Respiration) – অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে শ্বসন
অ্যানারোবিক শ্বসন হলো একটি শক্তি উৎপাদন প্রক্রিয়া যা অক্সিজেন ছাড়াই ঘটে। এই প্রক্রিয়ায়, গ্লুকোজের পরিপূর্ণ অক্সিডেশন হয় না, এবং কম শক্তি উৎপন্ন হয়। এটি সাধারণত কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে ঘটে, যেমন অক্সিজেনের অভাবে বা উচ্চ তাপমাত্রায়। উদ্ভিদ এবং কিছু প্রাণী (যেমন ব্যাকটেরিয়া, ইয়ারস্ট) এই ধরনের শ্বসন করে থাকে।
প্রক্রিয়া:
গ্লাইকোলিসিস: গ্লুকোজ ভেঙে ২টি পিরুভেট তৈরি হয়।
ফারমেন্টেশন: পিরুভেট মলিকিউল অক্সিজেনের অভাবে অন্য উপাদানে পরিবর্তিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, ইথানল বা ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরি হয়।
প্রতিক্রিয়া (ইথানল ফারমেন্টেশন): C₆H₁₂O₆ → 2C₂H₅OH + 2CO₂ + শক্তি (ATP)
প্রতিক্রিয়া (ল্যাকটিক অ্যাসিড ফারমেন্টেশন): C₆H₁₂O₆ → 2C₃H₆O₃ + শক্তি (ATP)
এই প্রক্রিয়ায় শক্তি কম উৎপন্ন হয়, তবে জরুরি পরিস্থিতিতে কোষগুলো শক্তি পেতে এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে।
শ্বসনের গুরুত্ব:
শক্তির উৎপাদন: শ্বসনের মাধ্যমে উদ্ভিদ, প্রাণী এবং অন্যান্য জীবিত কোষ শক্তি উৎপন্ন করে যা তাদের সেলুলার কার্যক্রম চালানোর জন্য প্রয়োজনীয়।
পেশি সংকোচন: শ্বসন থেকে উৎপন্ন শক্তি পেশির সংকোচন (muscle contraction) সহ বিভিন্ন জীববৈজ্ঞানিক কার্যক্রমে সহায়তা করে।
জীববিজ্ঞানী কাজে ব্যবহার: শ্বসন প্রক্রিয়া বিভিন্ন ধরনের জীববৈজ্ঞানিক এবং বায়ো-প্রযুক্তির কাজে ব্যবহৃত হয়। যেমন, ফারমেন্টেশন প্রক্রিয়া দ্বারা মদ, দই ও অন্যান্য খাদ্য তৈরি করা হয়।
নিষ্ক্রিয় পরিশোষণ বলতে কী বোঝায়?
নিষ্ক্রিয় পরিশোষণ (Passive Absorption) হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে উদ্ভিদ পানি এবং পুষ্টি উপাদান শোষণ করে, কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় কোনো শক্তির ব্যবহার বা অ্যাডেনোসিন ট্রাইফসফেট (ATP) প্রয়োজন হয় না। অর্থাৎ, উদ্ভিদ কোনো বাহ্যিক শক্তি ব্যবহার না করে পরিবেশের মধ্যে থাকা উপাদানগুলো শোষণ করে। নিষ্ক্রিয়Read more
নিষ্ক্রিয় পরিশোষণ (Passive Absorption) হল এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে উদ্ভিদ পানি এবং পুষ্টি উপাদান শোষণ করে, কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় কোনো শক্তির ব্যবহার বা অ্যাডেনোসিন ট্রাইফসফেট (ATP) প্রয়োজন হয় না। অর্থাৎ, উদ্ভিদ কোনো বাহ্যিক শক্তি ব্যবহার না করে পরিবেশের মধ্যে থাকা উপাদানগুলো শোষণ করে।
নিষ্ক্রিয় পরিশোষণের বৈশিষ্ট্য:
শক্তির প্রয়োজন নেই:
নিষ্ক্রিয় পরিশোষণে উদ্ভিদ কোনো ধরনের বাহ্যিক শক্তি ব্যবহার করে না। এটি একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, যেখানে পরিবেশের দিকে পানি এবং পুষ্টির উপাদানগুলো সন্নিবিষ্ট হয়ে যায় মাটির মধ্যে স্বাভাবিকভাবে চলমান পরিবেশগত শক্তি ও চাপের মাধ্যমে।
জলবায়ু এবং পরিবেশগত চাপের ওপর নির্ভরশীল:
এই প্রক্রিয়ায়, পানি এবং দ্রবীভূত খনিজ পদার্থ মাটির মধ্যে তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতার কারণে সরাসরি উদ্ভিদের শেকড়ের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি মাটিতে পানি বেশি থাকে বা উচ্চ আর্দ্রতা থাকে, তাহলে পানি এবং পুষ্টির উপাদান উদ্ভিদের শিকড়ে শোষিত হতে থাকে।
আনুকূল পরিবেশে দ্রুত ঘটে:
যখন পরিবেশে পানি বা খনিজ পদার্থের চাপ বেশি থাকে, তখন তা উদ্ভিদের শিকড়ের মাধ্যমে দ্রুত শোষিত হয়।
অপরিবর্তনশীল:
নিষ্ক্রিয় পরিশোষণ একটি স্বতঃস্ফূর্ত প্রক্রিয়া, যেখানে উদ্ভিদ কোনো আভ্যন্তরীণ শক্তি উৎপন্ন করে না। এটি মূলত অবস্থানগত বা চাপের মাধ্যমে ঘটে এবং কোনো বাহ্যিক শক্তির প্রয়োজন হয় না।
নিষ্ক্রিয় পরিশোষণের প্রক্রিয়া:
নিষ্ক্রিয় পরিশোষণ মূলত দুটি উপায়ে ঘটে:
অস্মোসিস:
জল এবং খনিজ পদার্থ মাটির মধ্যে থেকে উদ্ভিদের শিকড়ে প্রবাহিত হয় এই প্রক্রিয়ায়। অস্মোসিসের মাধ্যমে পানি উচ্চ চাপ থেকে নিম্ন চাপের দিকে চলে আসে। শিকড়ে অবস্থান করা উচ্চ আর্দ্রতার কারণে পানি মাটি থেকে শিকড়ে প্রবাহিত হয়ে যায়।
ডিফিউশন:
কোন দ্রবীভূত খনিজ পদার্থ (যেমন নাইট্রেট বা ক্যালসিয়াম) উচ্চ ঘনত্ব থেকে কম ঘনত্বের দিকে প্রবাহিত হয়। এই প্রক্রিয়ায় কোনো বাহ্যিক শক্তির প্রয়োজন হয় না, এটি এক প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাব হিসেবে ঘটে।
নিষ্ক্রিয় পরিশোষণের উদাহরণ:
যখন মাটি আর্দ্র থাকে, উদ্ভিদের শিকড় পানি শোষণ করে নেয় একটি নিষ্ক্রিয় প্রক্রিয়ায়।
মাটিতে দ্রবীভূত খনিজ যেমন ফসফেট, নাইট্রেট বা পটাশিয়াম প্রাকৃতিক চাপের মাধ্যমে উদ্ভিদের শিকড়ে প্রবাহিত হয়।
হ্যাড্রোসেন্ট্রিক ভাস্কুলার বান্ডল বলতে কী বোঝায়?
হ্যাড্রোসেন্ট্রিক ভাস্কুলার বান্ডল (Hydrocentric Vascular Bundle) একটি ধরনের ভাস্কুলার বান্ডল যা সাধারণত উদ্ভিদের মূল এবং ডাল বা কাণ্ড-এ দেখা যায়। এই ধরনের বান্ডলে একটি কেন্দ্রীয় স্থান থাকে যেখানে একটি বৃহৎ এক্সাইলারি বা শাখাযুক্ত ভাস্কুলার টিস্যু (xylem) থাকে, যা জল এবং খনিজ লবণ পরিবহন করে। এই কেনRead more
হ্যাড্রোসেন্ট্রিক ভাস্কুলার বান্ডল (Hydrocentric Vascular Bundle) একটি ধরনের ভাস্কুলার বান্ডল যা সাধারণত উদ্ভিদের মূল এবং ডাল বা কাণ্ড-এ দেখা যায়। এই ধরনের বান্ডলে একটি কেন্দ্রীয় স্থান থাকে যেখানে একটি বৃহৎ এক্সাইলারি বা শাখাযুক্ত ভাস্কুলার টিস্যু (xylem) থাকে, যা জল এবং খনিজ লবণ পরিবহন করে। এই কেন্দ্রীয় অঞ্চলটি সাধারণত xylem (জল পরিবহনকারী টিস্যু) দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে এবং phloem (খাদ্য পরিবহনকারী টিস্যু) এর শাখাগুলি এক্সাইলাম এর চারপাশে বিন্যস্ত থাকে।
হ্যাড্রোসেন্ট্রিক ভাস্কুলার বান্ডলের বৈশিষ্ট্য:
কেন্দ্রীয় এক্সাইলাম:
হ্যাড্রোসেন্ট্রিক বান্ডলের মধ্যে এক্সাইলাম একটি কেন্দ্রীয় অবস্থানে থাকে।
এক্সাইলাম এখানে জল এবং খনিজ লবণ পরিবহন করে।
ফ্লোএম:
ফ্লোএম সাধারণত এক্সাইলামের চারপাশে অবস্থান করে এবং এটি খাদ্য এবং অন্যান্য উপাদান পরিবহন করে।
প্যাটার্ন:
এই ধরনের বান্ডলে এক্সাইলাম এবং ফ্লোএম একে অপরের দিকে অবস্থান করে থাকে, অর্থাৎ এক্সাইলাম কেন্দ্রে এবং ফ্লোএম চারপাশে থাকে।
গঠন:
এটি মূলত ক্রস-সেকশনে একটি বৃত্তাকার বা অর্ধবৃত্তাকার আকৃতি ধারণ করে।
কোথায় দেখা যায়?
হ্যাড্রোসেন্ট্রিক ভাস্কুলার বান্ডল সাধারণত উদ্ভিদের কাণ্ড, শাখা এবং কিছু মূল এর মধ্যে থাকে। এটি একটি বিশেষ ধরনের ভাস্কুলার বান্ডল যা কিছু উদ্ভিদের মধ্যে বিশেষভাবে দেখা যায়, যেমন কিছু গাছপালা এবং জীবন্ত উদ্ভিদ প্রজাতিতে।
See lessকোরালয়েড মূল কী?
কোরালয়েড মূল একটি উদ্ভিদের অঙ্কুরোদগমের জন্য বিশেষভাবে কার্যকরী একটি অংশ, যা মূলের নিচে অবস্থিত। এটি মূলের শাখা-প্রশাখা বৃদ্ধি এবং গাছের শেকড়ের সম্প্রসারণে সহায়তা করে, ফলে গাছের পুষ্টি গ্রহণের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কোরালয়েড মূলটি মূলত পানির শোষণ এবং পুষ্টি সরবরাহের কাজ করে থাকে।
কোরালয়েড মূল একটি উদ্ভিদের অঙ্কুরোদগমের জন্য বিশেষভাবে কার্যকরী একটি অংশ, যা মূলের নিচে অবস্থিত। এটি মূলের শাখা-প্রশাখা বৃদ্ধি এবং গাছের শেকড়ের সম্প্রসারণে সহায়তা করে, ফলে গাছের পুষ্টি গ্রহণের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কোরালয়েড মূলটি মূলত পানির শোষণ এবং পুষ্টি সরবরাহের কাজ করে থাকে।
See lessমুক্ত সমপার্শ্বীয় ভাস্কুলার বান্ডল বলতে কী বোঝায়?
মুক্ত সমপার্শ্বীয় ভাস্কুলার বান্ডল হলো এমন একটি ভাস্কুলার বান্ডল যেখানে জাইলেম ও ফ্লোএম পাশাপাশি থাকে এবং তাদের মাঝখানে ক্যাম্বিয়াম উপস্থিত থাকে। এই ক্যাম্বিয়াম থাকার ফলে এটি দ্বিতীয়ক বৃদ্ধি করতে পারে। এটি সাধারণত দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের ডাঁটায় দেখা যায়।
মুক্ত সমপার্শ্বীয় ভাস্কুলার বান্ডল হলো এমন একটি ভাস্কুলার বান্ডল যেখানে জাইলেম ও ফ্লোএম পাশাপাশি থাকে এবং তাদের মাঝখানে ক্যাম্বিয়াম উপস্থিত থাকে। এই ক্যাম্বিয়াম থাকার ফলে এটি দ্বিতীয়ক বৃদ্ধি করতে পারে। এটি সাধারণত দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের ডাঁটায় দেখা যায়।
See lessমুক্ত সমপার্শ্বীয় ভাস্কুলার বান্ডল বলতে কী বোঝায়?
মুক্ত সমপার্শ্বীয় ভাস্কুলার বান্ডল (Open Collateral Vascular Bundle) বলতে উদ্ভিদের ভাস্কুলার সিস্টেমের একটি বিশেষ ধরনের বিন্যাসকে বোঝায়, যেখানে জাইলেম (Xylem) এবং ফ্লোয়েম (Phloem) পাশাপাশি অবস্থান করে এবং তাদের মধ্যে ক্যাম্বিয়াম (Cambium) নামক একটি জীবিত টিস্যুর স্তর থাকে। এই ক্যাম্বিয়ামের উপস্থRead more
মুক্ত সমপার্শ্বীয় ভাস্কুলার বান্ডল (Open Collateral Vascular Bundle) বলতে উদ্ভিদের ভাস্কুলার সিস্টেমের একটি বিশেষ ধরনের বিন্যাসকে বোঝায়, যেখানে জাইলেম (Xylem) এবং ফ্লোয়েম (Phloem) পাশাপাশি অবস্থান করে এবং তাদের মধ্যে ক্যাম্বিয়াম (Cambium) নামক একটি জীবিত টিস্যুর স্তর থাকে। এই ক্যাম্বিয়ামের উপস্থিতির কারণে এটি “মুক্ত” (Open) বলে পরিচিত, কারণ এটি গৌণ বৃদ্ধি (Secondary Growth) ঘটাতে সক্ষম। এই ধরনের ভাস্কুলার বান্ডল সাধারণত ডাইকটিলিডন উদ্ভিদে (Dicotyledonous Plants) দেখা যায়, যেমন মটরশুঁটি, সূর্যমুখী ইত্যাদি।
গঠন:
বৈশিষ্ট্য:
কাজ:
উদাহরণ:
মুক্ত ও বদ্ধ ভাস্কুলার বান্ডলের পার্থক্য:
গুরুত্ব:
জাইলেম কী?
জাইলেম (Xylem) হলো উদ্ভিদের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন টিস্যু, যা মূলত পানি এবং দ্রবীভূত খনিজ লবণকে শিকড় থেকে উদ্ভিদের অন্যান্য অংশে, যেমন কাণ্ড, পাতা এবং ফুলে পরিবহন করে। এটি উদ্ভিদের ভাস্কুলার সিস্টেমের একটি অংশ এবং ফ্লোয়েমের (Phloem) সাথে মিলে উদ্ভিদের পরিবহন ব্যবস্থা গঠন করে। জাইলেম শুধু পরিবহনেRead more
জাইলেম (Xylem) হলো উদ্ভিদের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন টিস্যু, যা মূলত পানি এবং দ্রবীভূত খনিজ লবণকে শিকড় থেকে উদ্ভিদের অন্যান্য অংশে, যেমন কাণ্ড, পাতা এবং ফুলে পরিবহন করে। এটি উদ্ভিদের ভাস্কুলার সিস্টেমের একটি অংশ এবং ফ্লোয়েমের (Phloem) সাথে মিলে উদ্ভিদের পরিবহন ব্যবস্থা গঠন করে। জাইলেম শুধু পরিবহনের কাজই করে না, বরং উদ্ভিদের গঠনগত স্থিতিশীলতা প্রদানেও সহায়তা করে।
জাইলেমের গঠন:
জাইলেম বিভিন্ন ধরনের কোষ দিয়ে গঠিত, যার মধ্যে রয়েছে:
জাইলেমের কাজ:
জাইলেমের প্রকার:
পানি পরিবহনের প্রক্রিয়া:
জাইলেমে পানি পরিবহন একটি প্যাসিভ প্রক্রিয়া, যা প্রধানত তিনটি শক্তির ওপর নির্ভর করে:
জাইলেমের গুরুত্ব:
জীবন্ত জীবাশ্ম বলতে কী বোঝায়?
জীবন্ত জীবাশ্ম হলো এমন প্রাণী বা উদ্ভিদ, যেগুলি প্রাচীন সময়ে বিলুপ্ত জীবের মতো একই বৈশিষ্ট্য ধারণ করে এবং আজও জীবিত অবস্থায় পৃথিবীতে পাওয়া যায়। এই জীবাশ্মগুলির গঠন বা আচরণ খুব বেশি পরিবর্তিত হয়নি এবং তারা বহু বছর ধরে টিকে রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, গিঁরিফট শঙ্খ (Coelacanth) এবং সাইকাড (Cycads) হল জীRead more
জীবন্ত জীবাশ্ম হলো এমন প্রাণী বা উদ্ভিদ, যেগুলি প্রাচীন সময়ে বিলুপ্ত জীবের মতো একই বৈশিষ্ট্য ধারণ করে এবং আজও জীবিত অবস্থায় পৃথিবীতে পাওয়া যায়। এই জীবাশ্মগুলির গঠন বা আচরণ খুব বেশি পরিবর্তিত হয়নি এবং তারা বহু বছর ধরে টিকে রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, গিঁরিফট শঙ্খ (Coelacanth) এবং সাইকাড (Cycads) হল জীবন্ত জীবাশ্মের অন্যতম উদাহরণ।
See less