Join ProshnoUttor today! Ask, answer, and share knowledge—earn points, revenue, and rewards while learning with a global community. Sign up now and start your journey!
Welcome back to ProshnoUttor! Log in to explore, contribute, and earn rewards while learning with our global community. Let’s get started!
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
জীবন্ত জীবাশ্ম বলতে কী বোঝায়?
জীবন্ত জীবাশ্ম (Living Fossil) এমন এক ধরনের প্রাণী বা উদ্ভিদকে বলা হয়, যেগুলি ভূতাত্ত্বিকভাবে প্রাচীন, বিলুপ্ত প্রাণী বা উদ্ভিদের সাথে তুলনীয় এবং যা আজও জীবিত অবস্থায় পৃথিবীতে পাওয়া যায়। এই জীবাশ্মগুলির শারীরিক গঠন, গঠনগত বৈশিষ্ট্য বা আচরণ বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাণীদের সঙ্গে খুব সাদৃশ্যপূর্ণ, কRead more
জীবন্ত জীবাশ্ম (Living Fossil) এমন এক ধরনের প্রাণী বা উদ্ভিদকে বলা হয়, যেগুলি ভূতাত্ত্বিকভাবে প্রাচীন, বিলুপ্ত প্রাণী বা উদ্ভিদের সাথে তুলনীয় এবং যা আজও জীবিত অবস্থায় পৃথিবীতে পাওয়া যায়। এই জীবাশ্মগুলির শারীরিক গঠন, গঠনগত বৈশিষ্ট্য বা আচরণ বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া প্রাণীদের সঙ্গে খুব সাদৃশ্যপূর্ণ, কিন্তু তাদের সংখ্যা কমে যায়নি বা তাদের অস্তিত্ব আজও পৃথিবীতে টিকে রয়েছে।
জীবন্ত জীবাশ্মের বৈশিষ্ট্য:
বিলুপ্ত জীবের মতো বৈশিষ্ট্য: জীবন্ত জীবাশ্মগুলো মূলত এমন প্রাণী বা উদ্ভিদ যারা ভৌগোলিক সময়ে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া অনেক জীবের সঙ্গেই একরকম বৈশিষ্ট্য ধারণ করে থাকে। তাদের শারীরিক গঠন, ডিএনএ বা আচরণ অতীতের জীবাশ্মের সঙ্গে খুবই মিল থাকে।
কম পরিবর্তন: এই জীবাশ্মগুলির প্রাকৃতিক পরিবেশে পরিবর্তন কম হয়েছে, অর্থাৎ তারা তাদের প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য ধরে রেখে টিকে আছে। উদাহরণস্বরূপ, এগুলির অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, শারীরিক গঠন এবং জীবনধারা তেমন পরিবর্তিত হয়নি অনেক যুগ ধরে।
প্রাচীন প্রজাতির প্রতিনিধিত্ব: জীবন্ত জীবাশ্মেরা মূলত প্রাচীন যুগের প্রাণী বা উদ্ভিদের প্রতিনিধিত্ব করে, যারা বহু কোটি বছর আগে বিলুপ্ত হয়েছিল, তবে তারা কিছুটা বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে আজও জীবিত অবস্থায় রয়েছে।
জীবন্ত জীবাশ্মের উদাহরণ:
গিঁরিফট শঙ্খ (Coelacanth): গিঁরিফট শঙ্খ একটি প্রাচীন মাছ, যেটি ৩০০ মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে উপস্থিত ছিল এবং একসময় তা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল বলে মনে করা হয়েছিল। তবে, ১৯৩৮ সালে এটি দক্ষিণ আফ্রিকার উপকূলে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়। এটি মাছের একটি খুব পুরনো প্রজাতি এবং এর অঙ্গপ্রত্যঙ্গের গঠন ও জীবাশ্মের সাথে তুলনা করা হয়।
সাইকাড (Cycads): সাইকাড হলো এক প্রকার উদ্ভিদ, যা পৃথিবীতে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন বছর আগে ছিল এবং আজও জীবিত রয়েছে। সাইকাডগুলি আদি কালের উদ্ভিদ হিসেবে পরিচিত এবং এটি একটি গাছের মতো দেখতে হলেও, তাদের গঠন খুব পুরনো এবং বিলুপ্ত উদ্ভিদের মতো। এটি মূলত গাছের একটি পুরনো প্রজাতি এবং পৃথিবীর কয়েকটি অঞ্চলে আজও পাওয়া যায়।
গ্যাস্ট্রোপড শেলের কিছু প্রজাতি (Gastropod Molluscs): কিছু গ্যাস্ট্রোপড শেলের প্রজাতি, যেমন নুথেয়ারিয়া (Neothaea), এখনও জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়, যদিও তাদের জীবাশ্ম পৃথিবীতে বেশ কয়েক কোটি বছর ধরে ছিল। এই শেলগুলি অনেকাংশে একরকম পরিবর্তনহীন।
অস্ট্রেলিয়ান মেরিমাল (Mormoops): মেরিমাল একটি প্রাচীন প্রজাতির বাদুড়, যা প্রায় ৪০ মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে ছিল। আজকের মেরিমাল প্রজাতি তার পূর্বপুরুষের মতোই শারীরিকভাবে অনেকটা অপরিবর্তিত।
জীবন্ত জীবাশ্মের গুরুত্ব:
বিবর্তন ও জীববৈচিত্র্য বুঝতে সহায়ক: জীবন্ত জীবাশ্মগুলো জীববৈচিত্র্য এবং জীবনের বিবর্তন সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে। তাদের মাধ্যমে আমরা পৃথিবীর জীবাশ্ম ইতিহাস এবং প্রাণীদের বিবর্তনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিশদভাবে জানতে পারি।
পৃথিবী ও জীবনের ইতিহাস: জীবন্ত জীবাশ্মগুলি পৃথিবীর প্রাচীন যুগের জীবনের একটি “জীবন্ত” চিত্র হিসেবে কাজ করে। এরা আমাদের পৃথিবীর ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য প্রদান করে, যেমন যে কীভাবে পৃথিবী পরিবর্তিত হয়েছে এবং কিভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে জীবের অভিযোজন ঘটেছে।
প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রতিক্রিয়া: জীবন্ত জীবাশ্মগুলি প্রমাণ দেয় যে জীবরা প্রাকৃতিক পরিবেশে কীভাবে দীর্ঘ সময় ধরে টিকে থাকতে সক্ষম হয়েছে এবং তার বিভিন্ন পরিবেশগত পরিবর্তনের সঙ্গে তারা কীভাবে মানিয়ে নিয়েছে।
জীবন্ত জীবাশ্মের বৈজ্ঞানিক দিক:
জীবন্ত জীবাশ্মগুলি একটি জীবিত প্রজাতির তুলনায় অনেক বেশি ঐতিহাসিক ও বিবর্তনমূলক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এই জীবাশ্মগুলো একে অপরের সাথে বিবর্তিত হয়নি, অর্থাৎ, তারা একে অপরের থেকে দীর্ঘ সময় ধরে বিচ্ছিন্ন ছিল এবং সেই কারণে তাদের মধ্যে কোনও বড় পরিবর্তন হয়নি।
উদাহরণস্বরূপ, গিঁরিফট শঙ্খের কঙ্কাল এবং অন্যান্য পুরনো মাছের কঙ্কালের মধ্যে মিল দেখা যায়, যার মাধ্যমে এটি প্রমাণিত হয় যে, তাদের জীবাশ্ম গঠন ও বিবর্তন সারা পৃথিবীতে অনেককাল ধরে অপরিবর্তিত ছিল।
উপসংহার:
জীবন্ত জীবাশ্মগুলি পৃথিবীর জীবনের প্রাচীন ইতিহাসের অমূল্য অংশ এবং এগুলি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই প্রজাতিগুলি প্রমাণ করে যে পৃথিবীতে জীবের বিবর্তন কতটা ধীরগতিতে ঘটে এবং কিছু প্রাণী বা উদ্ভিদ যুগের পর যুগ ধরে একরকম অবস্থা বজায় রেখে পৃথিবীতে টিকে থাকতে পারে।
See lessসাইটোকাইনেসিস বলতে কী বোঝায়?
সাইটোকাইনেসিস হলো কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং চূড়ান্ত ধাপ, যেখানে একটি মাতৃকোষের সাইটোপ্লাজম (Cytoplasm) বিভক্ত হয়ে দুটি বা ততোধিক স্বাধীন সন্তান কোষ তৈরি করে। এটি কোষের নিউক্লিয়াস বিভাজন বা ক্যারিওকাইনেসিস (Karyokinesis)-এর পরে ঘটে এবং মাইটোসিস (Mitosis) ও মিয়োসিস (MeioRead more
সাইটোকাইনেসিস হলো কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং চূড়ান্ত ধাপ, যেখানে একটি মাতৃকোষের সাইটোপ্লাজম (Cytoplasm) বিভক্ত হয়ে দুটি বা ততোধিক স্বাধীন সন্তান কোষ তৈরি করে। এটি কোষের নিউক্লিয়াস বিভাজন বা ক্যারিওকাইনেসিস (Karyokinesis)-এর পরে ঘটে এবং মাইটোসিস (Mitosis) ও মিয়োসিস (Meiosis) উভয় ক্ষেত্রেই দেখা যায়। সাইটোকাইনেসিসের মূল উদ্দেশ্য হলো মাতৃকোষের সাইটোপ্লাজম, অর্গানেল (যেমন মাইটোকন্ড্রিয়া, গলগি বডি) এবং অন্যান্য কোষীয় উপাদানগুলোকে সন্তান কোষগুলোর মধ্যে সঠিকভাবে বণ্টন করা, যাতে প্রতিটি নতুন কোষ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। এই প্রক্রিয়া জীবের বৃদ্ধি, টিস্যু মেরামত, এবং প্রজননের জন্য অপরিহার্য। নিচে সাইটোকাইনেসিসের বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হলো।
সাইটোকাইনেসিস কখন এবং কীভাবে ঘটে?
সাইটোকাইনেসিস সাধারণত মাইটোসিস বা মিয়োসিসের টেলোফেজ (Telophase) ধাপের সময় শুরু হয়, যখন ক্রোমোজোমগুলো কোষের দুই মেরুতে পৌঁছে নতুন নিউক্লিয়াস গঠন শুরু করে। তবে, এর প্রক্রিয়া কোষের ধরন এবং জীবের প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে ভিন্ন হয়। প্রাণী কোষ এবং উদ্ভিদ কোষে সাইটোকাইনেসিস ভিন্ন পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়, যা নিচে বর্ণিত হয়েছে।
১. প্রাণী কোষে সাইটোকাইনেসিস:
প্রাণী কোষে সাইটোকাইনেসিস একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটে যাকে ক্লিভেজ ফারো (Cleavage Furrow) বলা হয়। এটি নিম্নলিখিত ধাপে সম্পন্ন হয়:
এই প্রক্রিয়ায় কোষ প্রাচীর না থাকার কারণে প্রাণী কোষে সাইটোকাইনেসিস তুলনামূলকভাবে দ্রুত এবং নমনীয় হয়।
২. উদ্ভিদ কোষে সাইটোকাইনেসিস:
উদ্ভিদ কোষে সাইটোকাইনেসিস ভিন্ন পদ্ধতিতে ঘটে কারণ এদের শক্ত কোষ প্রাচীর (Cell Wall) থাকে। এখানে সেল প্লেট (Cell Plate) গঠনের মাধ্যমে বিভাজন সম্পন্ন হয়। ধাপগুলো হলো:
উদ্ভিদ কোষে কোষ প্রাচীরের উপস্থিতির কারণে ক্লিভেজ ফারো গঠন সম্ভব নয়, তাই সেল প্লেট পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।
সাইটোকাইনেসিসের সময় ও নিয়ন্ত্রণ:
সাইটোকাইনেসিস একটি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়া। এটি কোষ চক্রের (Cell Cycle) বিভিন্ন চেকপয়েন্টের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়, যাতে নিউক্লিয়াস বিভাজন সঠিকভাবে সম্পন্ন হওয়ার পরই সাইটোপ্লাজম বিভক্ত হয়। প্রোটিন কাইনেস এবং অন্যান্য সংকেত প্রোটিন (যেমন Cyclins) এই প্রক্রিয়ার সময় এবং সঠিকতা নিশ্চিত করে। যদি সাইটোকাইনেসিসে ত্রুটি ঘটে, তবে কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বা ক্যান্সারের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মাইটোসিস ও মিয়োসিসে সাইটোকাইনেসিসের পার্থক্য:
সাইটোকাইনেসিসের গুরুত্ব:
উপসংহার:
সাইটোকাইনেসিস কোষ বিভাজনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা ক্যারিওকাইনেসিসের পর কোষকে সম্পূর্ণভাবে বিভক্ত করে। প্রাণী ও উদ্ভিদ কোষে এর পদ্ধতি ভিন্ন হলেও উদ্দেশ্য একই—দুটি কার্যকরী সন্তান কোষ তৈরি করা। এই প্রক্রিয়া জীবজগতের বৃদ্ধি, বিকাশ এবং ধারাবাহিকতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সাইটোকাইনেসিস বলতে কী বোঝায়?
সাইটোকাইনেসিস হল কোষ বিভাজনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যা কোষের সাইটোপ্লাজম ও অন্যান্য কোষের উপাদানগুলোর বিভাজনকে নির্দেশ করে। এটি কোষ বিভাজনের শেষ পর্যায়, যেখানে একটি মায়া কোষের সাইটোপ্লাজম দুটি নতুন কন্যা কোষে সমানভাবে বিতরণ হয়। সাইটোকাইনেসিসের মাধ্যমে কোষের শারীরিক বিভাজন সম্পন্ন হয় এবং দুটি পূRead more
সাইটোকাইনেসিস হল কোষ বিভাজনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যা কোষের সাইটোপ্লাজম ও অন্যান্য কোষের উপাদানগুলোর বিভাজনকে নির্দেশ করে। এটি কোষ বিভাজনের শেষ পর্যায়, যেখানে একটি মায়া কোষের সাইটোপ্লাজম দুটি নতুন কন্যা কোষে সমানভাবে বিতরণ হয়। সাইটোকাইনেসিসের মাধ্যমে কোষের শারীরিক বিভাজন সম্পন্ন হয় এবং দুটি পূর্ণাঙ্গ কন্যা কোষ তৈরি হয়, যা আলাদা আলাদাভাবে কাজ করতে সক্ষম হয়।
সাইটোকাইনেসিসের সময়ের ধরন:
সাইটোকাইনেসিস সাধারণত কোষ বিভাজনের পরে ঘটে, এবং এটি দুটি প্রধান ধাপে বিভক্ত হতে পারে—পশু কোষে এবং উদ্ভিদ কোষে। যদিও সাইটোকাইনেসিস প্রক্রিয়া দুটি কোষে একইভাবে ঘটে, তবে এই দুই ধরণের কোষের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে।
সাইটোকাইনেসিসের ধাপ:
সাইটোকাইনেসিস মাইটোসিস বা মেইওসিসের পর ঘটে, এবং এটি প্রধানত দুটি ধাপে সম্পন্ন হয়:
পশু কোষে সাইটোকাইনেসিস:
পশু কোষের সাইটোকাইনেসিসের মধ্যে কনস্ট্রিকশন রিং বা ফুরোউশন রিং নামে একটি গঠন থাকে। এই রিংটি প্রোটিন ফাইবার যেমন অ্যাকটিন এবং মায়োসিন দিয়ে তৈরি, যা কোষের প্লাজমা মেমব্রেনের কাছে সংকুচিত হতে থাকে। এটি প্লাজমা মেমব্রেনকে অর্ধেক দিয়া দুটি আলাদা কন্যা কোষে বিভক্ত করে, এই প্রক্রিয়াকে ক্লিভেজ ফুরোউশন বলা হয়।
ধাপ:
উদ্ভিদ কোষে সাইটোকাইনেসিস:
উদ্ভিদ কোষে সাইটোকাইনেসিসের ক্ষেত্রে কোষের দেয়াল বা সেল ওয়াল রয়েছে, যা পৃথক হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তাই উদ্ভিদ কোষের সাইটোকাইনেসিস প্রক্রিয়া কিছুটা আলাদা।
ধাপ:
সাইটোকাইনেসিসের গুরুত্ব: