Join ProshnoUttor today! Ask, answer, and share knowledge—earn points, revenue, and rewards while learning with a global community. Sign up now and start your journey!
Welcome back to ProshnoUttor! Log in to explore, contribute, and earn rewards while learning with our global community. Let’s get started!
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
শ্বসন কী?
শ্বসন হলো জীবিত কোষের একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে খাদ্য পদার্থ যেমন গ্লুকোজ অক্সিজেনের উপস্থিতিতে ভেঙে শক্তি (ATP) উৎপন্ন হয়। এটি কোষের জীববৈজ্ঞানিক কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে। শ্বসন দুটি প্রধান প্রকারে ভাগ করা হয়: অ্যারোবিক শ্বসন (অক্সিজেনের উপস্থিতিতে) এবং অ্যানারোবিক শ্বসন (অক্Read more
শ্বসন হলো জীবিত কোষের একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে খাদ্য পদার্থ যেমন গ্লুকোজ অক্সিজেনের উপস্থিতিতে ভেঙে শক্তি (ATP) উৎপন্ন হয়। এটি কোষের জীববৈজ্ঞানিক কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে। শ্বসন দুটি প্রধান প্রকারে ভাগ করা হয়: অ্যারোবিক শ্বসন (অক্সিজেনের উপস্থিতিতে) এবং অ্যানারোবিক শ্বসন (অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে)।
See lessশ্বসন কী?
শ্বসন (Respiration) হলো একটি জৈবিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে জীবন্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো খাদ্য এবং অক্সিজেনের সাহায্যে শক্তি উৎপন্ন করে। এটি সেলের ভেতরে ঘটে এবং শক্তি উৎপাদনের জন্য অক্সিজেন ব্যবহৃত হয়, যার ফলে কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং পানি উৎপন্ন হয়। এই প্রক্রিয়া জীবের সেলুলার কার্যক্রম চালানোর জন্য প্রয়োজনীRead more
শ্বসন (Respiration) হলো একটি জৈবিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে জীবন্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো খাদ্য এবং অক্সিজেনের সাহায্যে শক্তি উৎপন্ন করে। এটি সেলের ভেতরে ঘটে এবং শক্তি উৎপাদনের জন্য অক্সিজেন ব্যবহৃত হয়, যার ফলে কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং পানি উৎপন্ন হয়। এই প্রক্রিয়া জীবের সেলুলার কার্যক্রম চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে।
শ্বসনকে সাধারণত দুটি প্রধান শ্রেণিতে ভাগ করা যায়:
অ্যারোবিক শ্বসন (Aerobic Respiration)
অ্যানারোবিক শ্বসন (Anaerobic Respiration)
অ্যারোবিক শ্বসন (Aerobic Respiration)
এটি এমন এক প্রক্রিয়া যেখানে অক্সিজেনের উপস্থিতিতে শক্তি উৎপন্ন হয়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্লুকোজ (C₆H₁₂O₆) এবং অক্সিজেন (O₂) মিশে শক্তি, কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO₂) এবং পানি (H₂O) উৎপন্ন করে।
এটি তিনটি প্রধান ধাপে ঘটে:
গ্লাইকোলিসিস: সাইটোপ্লাজমে গ্লুকোজ ভেঙে ২টি পিরুভেট মলিকিউল তৈরি হয়।
ক্রেবস সাইকেল: মাইটোকন্ড্রিয়াতে পিরুভেট ভেঙে শক্তি উৎপন্ন হয়।
অক্সিডেটিভ ফসফোরিলেশন: মাইটোকন্ড্রিয়ার অভ্যন্তরে অক্সিজেনের সাহায্যে শক্তি উৎপন্ন হয়।
প্রতিক্রিয়া:
C₆H₁₂O₆ + 6O₂ → 6CO₂ + 6H₂O + শক্তি (ATP)
অ্যানারোবিক শ্বসন (Anaerobic Respiration)
এটি একটি প্রক্রিয়া যেখানে অক্সিজেনের অভাবে শক্তি উৎপন্ন হয়। এখানে গ্লুকোজের পরিপূর্ণ পরিসমাপ্তি না ঘটে এবং কম শক্তি উৎপন্ন হয়। এই প্রক্রিয়াটি সাধারণত কিছু বিশেষ ধরনের জীবাণু বা উদ্ভিদ এবং পেশির মধ্যে ঘটে যখন অক্সিজেন পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায় না।
এটি দুটি প্রধান ধাপে ঘটে:
গ্লাইকোলিসিস: গ্লুকোজ ভেঙে ২টি পিরুভেট তৈরি হয়।
ফারমেন্টেশন: পিরুভেটের অপ্রাপ্ত অক্সিডেশন হয় এবং শক্তি উৎপন্ন হয়, কিন্তু কার্বন ডাইঅক্সাইড এবং অন্য কোনো উপাদান হিসেবে এটি শেষ হয়।
প্রতিক্রিয়া:
ইথানল ফারমেন্টেশন:
C₆H₁₂O₆ → 2C₂H₅OH + 2CO₂ + শক্তি (ATP)
ল্যাকটিক অ্যাসিড ফারমেন্টেশন:
C₆H₁₂O₆ → 2C₃H₆O₃ + শক্তি (ATP)
শ্বসনের গুরুত্ব:
শক্তির উৎপাদন: শ্বসন জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি শর্করা, ফ্যাট এবং প্রোটিনের মত খাদ্য উপাদান থেকে শক্তি তৈরি করে।
পেশি সংকোচন: শ্বসনের মাধ্যমে উৎপন্ন শক্তি পেশির সংকোচনে সাহায্য করে।
বায়োশিল্পে ব্যবহার: বিভিন্ন ধরনের ফারমেন্টেশন প্রক্রিয়া খাদ্য এবং পানীয় উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়, যেমন ইথানল উৎপাদন, দই ও মদ প্রস্তুতিতে।
নিষ্ক্রিয় পরিশোষণ বলতে কী বোঝায়?
নিষ্ক্রিয় পরিশোষণ হলো উদ্ভিদের মূল দ্বারা পানি ও খনিজ লবণ শোষণের একটি প্রক্রিয়া, যেখানে শক্তি (ATP) ব্যয় হয় না। এটি প্রধানত অসমোসিস (osmosis) ও ডিফিউশন (diffusion) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটে। বৈশিষ্ট্য: ১. এটি শক্তিনির্ভর নয় (ATP প্রয়োজন হয় না)। ২. মূলের রোম দ্বারা পানি ও দ্রবীভূত লবণ কোষপ্রাচীর ও কোষঝিRead more
নিষ্ক্রিয় পরিশোষণ হলো উদ্ভিদের মূল দ্বারা পানি ও খনিজ লবণ শোষণের একটি প্রক্রিয়া, যেখানে শক্তি (ATP) ব্যয় হয় না। এটি প্রধানত অসমোসিস (osmosis) ও ডিফিউশন (diffusion) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটে।
বৈশিষ্ট্য:
১. এটি শক্তিনির্ভর নয় (ATP প্রয়োজন হয় না)।
২. মূলের রোম দ্বারা পানি ও দ্রবীভূত লবণ কোষপ্রাচীর ও কোষঝিল্লি ভেদ করে ভেস্কুলার টিস্যুতে প্রবেশ করে।
৩. এটি মূলের এপোপ্লাস্ট (apoplast) পথে বেশি ঘটে।
৪. পরিবেশের জলীয় বিভব (water potential) ও মাটির আর্দ্রতার উপর এ প্রক্রিয়া নির্ভরশীল।
নিষ্ক্রিয় পরিশোষণ সাধারণত কম লবণাক্ত মাটি ও পর্যাপ্ত পানির অবস্থায় বেশি কার্যকর হয়। এটি উদ্ভিদের জন্য একটি স্বাভাবিক ও সহজ শোষণ প্রক্রিয়া।
See lessকোরালয়েড মূল কী?
কোরালয়েড মূল একটি বিশেষ ধরনের মূল, যা উদ্ভিদের মূল ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে কাজ করে। এই মূলটি সাধারণত উদ্ভিদের শেকড়ের নিচে অবস্থিত এবং অন্যান্য শাখা-প্রশাখার মতো বিস্তৃত হয়। কোরালয়েড মূলের প্রধান কাজ হলো উদ্ভিদের শেকড়ের মধ্যে পানি এবং পুষ্টি উপাদান শোষণ বৃদ্ধি করা, যা গাছের সুস্থতা এবংRead more
কোরালয়েড মূল একটি বিশেষ ধরনের মূল, যা উদ্ভিদের মূল ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে কাজ করে। এই মূলটি সাধারণত উদ্ভিদের শেকড়ের নিচে অবস্থিত এবং অন্যান্য শাখা-প্রশাখার মতো বিস্তৃত হয়। কোরালয়েড মূলের প্রধান কাজ হলো উদ্ভিদের শেকড়ের মধ্যে পানি এবং পুষ্টি উপাদান শোষণ বৃদ্ধি করা, যা গাছের সুস্থতা এবং বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কোরালয়েড মূল সাধারণত মাটির গভীর স্তরে বিস্তৃত হয়ে থাকে, যেখানে এটি মাটির পুষ্টি উপাদান এবং পানি শোষণ করতে সক্ষম। এই ধরনের মূলের উপস্থিতি উদ্ভিদের শেকড়ের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ফলে গাছ দ্রুত বেড়ে ওঠে এবং স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। এর ফলে গাছের শেকড়ের শাখা-প্রশাখা আরও সুস্থ ও শক্তিশালী হয়, যা পরবর্তীতে গাছের পুষ্টি শোষণের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
কোরালয়েড মূল উদ্ভিদের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং তা গাছের জন্য একটি শক্তিশালী পুষ্টির উৎস সরবরাহ করে, যা তার সুষ্ঠু বৃদ্ধি এবং উন্নত উৎপাদনশীলতার জন্য অপরিহার্য। উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য কোরালয়েড মূল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এটি উঁচু এবং শক্তিশালী গাছের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে কার্যকরী।
See lessকোরালয়েড মূল কী?
কোরালয়েড মূল (Coralloid Root) হল এক ধরনের বিশেষ ধরনের মূল, যা সাধারণত কিছু উদ্ভিদের মধ্যে দেখা যায়, বিশেষ করে কর্না (Cycas) এবং নরম্যালি (Bryophytes) জাতীয় উদ্ভিদে। এই ধরনের মূলের গঠন সাধারণ মুলের থেকে আলাদা এবং এটি নির্দিষ্ট ধরনের ফাঙ্গাসের সাথে মিথোজীবী সম্পর্ক স্থাপন করে। ✅ গঠন ও বৈশিষ্ট্য: কোরRead more
কোরালয়েড মূল (Coralloid Root) হল এক ধরনের বিশেষ ধরনের মূল, যা সাধারণত কিছু উদ্ভিদের মধ্যে দেখা যায়, বিশেষ করে কর্না (Cycas) এবং নরম্যালি (Bryophytes) জাতীয় উদ্ভিদে। এই ধরনের মূলের গঠন সাধারণ মুলের থেকে আলাদা এবং এটি নির্দিষ্ট ধরনের ফাঙ্গাসের সাথে মিথোজীবী সম্পর্ক স্থাপন করে।
✅ গঠন ও বৈশিষ্ট্য:
কোরালয়েড মূলের গঠন:
বিশেষ আকৃতি: কোরালয়েড মূল দেখতে প্রায় শাখাদার বা করাল পাথরের মতো হয়, যার ফলে এটি “কোরাল” নামে পরিচিত।
ফাঙ্গাসের উপস্থিতি: কোরালয়েড মূলের গায়ে কিছু নির্দিষ্ট ধরনের ফাঙ্গাস থাকে, যা একধরনের মিথোজীবী সম্পর্ক স্থাপন করে, অর্থাৎ এই ফাঙ্গাস উদ্ভিদকে পুষ্টি সরবরাহ করে এবং উদ্ভিদ তার শর্করা প্রদান করে।
বৈশিষ্ট্য:
শাখাদার গঠন: এই মূলটি শাখাদার আকারে থাকে, যা সাধারণত মাটির ভেতরে বা তার পাশেই বিস্তৃত থাকে।
ফাঙ্গাসের উপস্থিতি: এই মূলের সাথে নাইট্রোজেন-ফিক্সিং ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস সংযুক্ত থাকে, যা উদ্ভিদকে অতিরিক্ত পুষ্টি প্রদান করে।
সাহায্যকারী ভূমিকা: এই ফাঙ্গাস উদ্ভিদকে আরও বেশি পুষ্টি গ্রহণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে, বিশেষ করে নাইট্রোজেন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে।
উদ্ভিদের বৃদ্ধি: কোরালয়েড মূল উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও শক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
🌱 কোথায় পাওয়া যায়?
কোরালয়েড মূল সাধারণত সাইকাস জাতীয় উদ্ভিদে পাওয়া যায়। এই উদ্ভিদে নাইট্রোজেন-ফিক্সিং ফাঙ্গাস এর উপস্থিতি থাকে, যা গাছের পুষ্টি সরবরাহে সাহায্য করে। এটি নির্দিষ্ট পরিবেশে অথবা বিশেষ ধরনের মাটিতে বৃদ্ধি পায়।
🔍 কাজ ও উপকারিতা:
নাইট্রোজেন ফিক্সেশন: কোরালয়েড মূলের মাধ্যমে উদ্ভিদটি নাইট্রোজেন ফিক্সিং ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস থেকে নাইট্রোজেন গ্রহণ করতে পারে, যা মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য সহায়ক।
পুষ্টির সরবরাহ: ফাঙ্গাসের উপস্থিতি উদ্ভিদের জন্য আরও পুষ্টি সরবরাহে সহায়ক এবং উদ্ভিদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
মিথোজীবী সম্পর্ক: এই মূলটি মিথোজীবী সম্পর্কের মাধ্যমে একে অপরকে সহায়তা করে, যা উদ্ভিদের জন্য উপকারী।
🧠 মনে রাখার কৌশল:
📚 উপসংহার:
কোরালয়েড মূল একটি বিশেষ ধরনের শাখাযুক্ত মূল যা মিথোজীবী সম্পর্ক স্থাপন করে উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও পুষ্টি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ধরনের মূল সাইকাস জাতীয় গাছের মধ্যে পাওয়া যায় এবং এটি নাইট্রোজেন ফিক্সেশন এবং অন্যান্য পুষ্টি সংগ্রহে সহায়ক।
See lessকোরালয়েড মূল কী?
কোরালয়েড মূল হল একটি বিশেষ ধরনের শাখাযুক্ত মূল যা কিছু নির্দিষ্ট উদ্ভিদে পাওয়া যায়, বিশেষ করে সাইকাস (Cycas) জাতীয় উদ্ভিদে। এই ধরনের মূলের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল এর সাথে উপস্থিত নাইট্রোজেন-ফিক্সিং ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস, যা মিথোজীবী সম্পর্ক তৈরি করে উদ্ভিদের বৃদ্ধি এবং পুষ্টি সরবরাহে সহায়তাRead more
কোরালয়েড মূল হল একটি বিশেষ ধরনের শাখাযুক্ত মূল যা কিছু নির্দিষ্ট উদ্ভিদে পাওয়া যায়, বিশেষ করে সাইকাস (Cycas) জাতীয় উদ্ভিদে। এই ধরনের মূলের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল এর সাথে উপস্থিত নাইট্রোজেন-ফিক্সিং ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস, যা মিথোজীবী সম্পর্ক তৈরি করে উদ্ভিদের বৃদ্ধি এবং পুষ্টি সরবরাহে সহায়তা করে। কোরালয়েড মূল মূলত শাখা-আকৃতির হয়ে থাকে এবং এর বৈশিষ্ট্য ও ভূমিকা উদ্ভিদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ।
কোরালয়েড মূলের গঠন ও বৈশিষ্ট্য:
শাখাযুক্ত গঠন:
কোরালয়েড মূলের গঠন প্রায় করাল পাথরের মতো, অর্থাৎ এটি শাখাবদ্ধ বা শাখাযুক্ত থাকে। এর শাখাগুলো মাটির গভীরে বিস্তৃত হয় এবং একে শাখাযুক্ত মূল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
ফাঙ্গাস বা মিথোজীবী সম্পর্ক:
কোরালয়েড মূলের সাথে কিছু বিশেষ ধরনের ফাঙ্গাস বা নাইট্রোজেন-ফিক্সিং ব্যাকটেরিয়া থাকে। এই ফাঙ্গাসের কাজ হল নাইট্রোজেন ফিক্সেশন বা বায়ুমন্ডলীয় নাইট্রোজেনকে উদ্ভিদের জন্য প্রয়োজনীয় আমোনিয়ায় রূপান্তরিত করা। এই সম্পর্ক মিথোজীবী সম্পর্ক হিসাবে পরিচিত, যেখানে উভয় পক্ষ একে অপরের উপকারে আসে।
উদ্ভিদের পুষ্টির জন্য উপকারী:
কোরালয়েড মূলের মধ্যে অবস্থিত এই ফাঙ্গাস বা ব্যাকটেরিয়া উদ্ভিদের জন্য অতিরিক্ত পুষ্টি সরবরাহ করে, বিশেষ করে নাইট্রোজেন। নাইট্রোজেন উদ্ভিদের জন্য এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা শোষণ না হলে উদ্ভিদ বিকাশে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
জৈবপ্রযুক্তির সহযোগিতা:
কিছু ফাঙ্গাস যেমন ফুসেরিয়াম, অ্যাকিনোমাইসেটস এবং রাইজোবিয়াম জাতীয় ব্যাকটেরিয়া কোরালয়েড মূলের সাথে মিথোজীবী সম্পর্ক স্থাপন করে। এই ব্যাকটেরিয়া তাদের নাইট্রোজেন ফিক্সিং ক্ষমতার মাধ্যমে উদ্ভিদের বৃদ্ধি সহায়তা করে।
কোরালয়েড মূলের উদ্ভিদে ভূমিকা:
নাইট্রোজেন ফিক্সেশন:
কোরালয়েড মূলের সাথে যুক্ত ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস গাছের জন্য বায়ুমন্ডলীয় নাইট্রোজেনকে শোষণযোগ্য রূপে রূপান্তরিত করে। এটি উদ্ভিদকে নাইট্রোজেন সরবরাহে সাহায্য করে, যা গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য অপরিহার্য।
পুষ্টির সরবরাহ:
এই মূলটি উদ্ভিদকে অতিরিক্ত পুষ্টি সরবরাহে সহায়ক। উদ্ভিদ মাটির মধ্যে থাকা কিছু উপাদান সরাসরি শোষণ করতে সক্ষম না হলে, এই মিথোজীবী সম্পর্ক তাদের সেই পুষ্টি সরবরাহ করে।
উদ্ভিদের বৃদ্ধি:
কোরালয়েড মূল উদ্ভিদের শাখাগুলোর মধ্যে শাখাযুক্ত গঠন তৈরি করে, যা উদ্ভিদের স্থিরতা এবং স্থল থেকে পুষ্টি সংগ্রহে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
নতুন উপাদান গ্রহণ:
কোরালয়েড মূলের মাধ্যমে উদ্ভিদ একটি বিশেষ ধরনের উপাদান গ্রহণ করে, যা মাটি থেকে শোষিত নয়, বরং মিথোজীবী ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাসের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়।
কোথায় কোরালয়েড মূল পাওয়া যায়?
কোরালয়েড মূল সাধারণত সাইকাস জাতীয় উদ্ভিদে পাওয়া যায়, বিশেষ করে সাইকাস রিভোলুটা (Cycas revoluta) এবং অন্যান্য সাইকাস প্রজাতিতে। তবে এটি বিভিন্ন প্রকারের উষ্ণমণ্ডলীয় গাছের মধ্যে দেখা যায়। এই ধরনের মূল নির্দিষ্ট পরিবেশ এবং বিশেষ ধরনের মাটিতে সবচেয়ে ভালো বিকাশ পায়। এর ফলে এই গাছগুলো গাছের পুষ্টির জন্য নিখুঁতভাবে উপযুক্ত।
কোরালয়েড মূলের উপকারিতা:
মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি:
নাইট্রোজেন ফিক্সেশন প্রক্রিয়া থেকে মাটির উর্বরতা বাড়ায়, যা অন্যান্য উদ্ভিদের জন্যও উপকারী হতে পারে।
প্রাকৃতিক ভারসাম্য:
কোরালয়েড মূল উদ্ভিদ ও মাটির মধ্যে এক ধরনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে, যাতে উভয়ের মধ্যে উপকারিতা থাকে।
মিথোজীবী সম্পর্কের শক্তি:
এই ধরনের মূলটি প্রমাণ করে যে উদ্ভিদ ও মিথোজীবী জীবের মধ্যে এক শক্তিশালী সহযোগিতা থাকতে পারে, যা তাদের দুজনেরই দীর্ঘস্থায়ী বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য নিশ্চিত করে।
কোরালয়েড মূল কী?
কোরালয়েড মূল (Coralloid Root) হলো কিছু নির্দিষ্ট উদ্ভিদের, বিশেষ করে সাইকাস (Cycas) জাতীয় জিমনোস্পার্ম উদ্ভিদের এক ধরনের বিশেষায়িত মূল। এই মূলগুলো দেখতে প্রবালের (Coral) মতো শাখান্বিত এবং গুচ্ছাকার হয়, যে কারণে এদের নাম "কোরালয়েড" পড়েছে। এগুলো সাধারণত মাটির উপরিভাগে বা অগভীর গভীরতায় বৃদ্ধি পায়Read more
কোরালয়েড মূল (Coralloid Root) হলো কিছু নির্দিষ্ট উদ্ভিদের, বিশেষ করে সাইকাস (Cycas) জাতীয় জিমনোস্পার্ম উদ্ভিদের এক ধরনের বিশেষায়িত মূল। এই মূলগুলো দেখতে প্রবালের (Coral) মতো শাখান্বিত এবং গুচ্ছাকার হয়, যে কারণে এদের নাম “কোরালয়েড” পড়েছে। এগুলো সাধারণত মাটির উপরিভাগে বা অগভীর গভীরতায় বৃদ্ধি পায় এবং নাইট্রোজেন স্থিতিকরণে (Nitrogen Fixation) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
গঠন:
কাজ:
বৈশিষ্ট্য:
উদাহরণ:
গুরুত্ব:
জাইলেম কী?
জাইলেম (Xylem) হলো উদ্ভিদের একটি পরিবাহী টিস্যু, যা মূলত পানি ও খনিজ পদার্থ মূল থেকে উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশে (বিশেষ করে পাতায়) পরিবহন করে। এটি উদ্ভিদের ভাস্কুলার সিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং সাধারণত কাঠের মতো শক্ত ও ঘন গঠনের হয়। ✦ জাইলেমের প্রধান বৈশিষ্ট্য: পানি ও খনিজ পরিবহন: মূল থেকে পানি ওRead more
জাইলেম (Xylem) হলো উদ্ভিদের একটি পরিবাহী টিস্যু, যা মূলত পানি ও খনিজ পদার্থ মূল থেকে উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশে (বিশেষ করে পাতায়) পরিবহন করে। এটি উদ্ভিদের ভাস্কুলার সিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং সাধারণত কাঠের মতো শক্ত ও ঘন গঠনের হয়।
✦ জাইলেমের প্রধান বৈশিষ্ট্য:
পানি ও খনিজ পরিবহন: মূল থেকে পানি ও খনিজ পদার্থ শোষণ করে তা ডাঁটা ও পাতার দিকে উপরের দিকে বহন করে।
একমুখী পরিবহন: জাইলেমে পরিবহন একমুখী—মূল থেকে শীর্ষের দিকে।
মৃত কোষ দ্বারা গঠিত: জাইলেম মূলত মৃত কোষ দিয়ে তৈরি, যেমন ট্র্যাচিড ও ভেসেল।
উদ্ভিদকে সহায়তা প্রদান: জাইলেম কাঠামোগতভাবে উদ্ভিদকে দৃঢ়তা ও সহায়তা দেয়।
✦ জাইলেমের উপাদান:
ট্র্যাচিড (Tracheids)
ভেসেল (Vessels)
জাইলেম প্যারেনকাইমা (Xylem parenchyma)
জাইলেম ফাইবার (Xylem fibers)
উপসংহার:
See lessজাইলেম উদ্ভিদের পানি ও খনিজ পরিবহনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি টিস্যু, যা উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও বেঁচে থাকার জন্য আবশ্যক।