যান্ত্রিক ভাষাকে মানুষের ভাষায় বোঝানোর উপযোগী লজিক সার্কিটটি ব্যাখ্যা কর।
যান্ত্রিক ভাষাকে মানুষের ভাষায় বোঝানোর উপযোগী লজিক সার্কিটটি ব্যাখ্যা কর।
Share
Join ProshnoUttor today! Ask, answer, and share knowledge—earn points, revenue, and rewards while learning with a global community. Sign up now and start your journey!
Welcome back to ProshnoUttor! Log in to explore, contribute, and earn rewards while learning with our global community. Let’s get started!
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
যান্ত্রিক ভাষা (Machine Language) বোঝার উপযোগী লজিক সার্কিট হলো ডিকোডার (Decoder)।
কম্পিউটারের মেমোরি বা প্রসেসরে যান্ত্রিক ভাষায় নির্দেশনা বা তথ্য থাকে, যা বাইনারি (০ এবং ১) আকারে থাকে। এই বাইনারি সংকেতকে মানুষের ভাষায় বোধগম্য বা ব্যবহারোপযোগী করে তোলার জন্য ডিকোডার ব্যবহার করা হয়।
ডিকোডার একটি কম্বিনেশনাল লজিক সার্কিট, যা নির্দিষ্ট সংখ্যক ইনপুট গ্রহণ করে তার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট আউটপুট তৈরি করে। এটি ইনপুট বাইনারি কোডকে উপযুক্তভাবে ডিকোড করে অর্থপূর্ণ সংকেত বা নির্দেশনায় রূপান্তর করে।
উদাহরণস্বরূপ:
২-বিট ইনপুট ডিকোডার ৪টি আউটপুট তৈরি করতে পারে (যেমন: 00 → O₀, 01 → O₁, 10 → O₂, 11 → O₃)। এতে করে মেশিনের সংকেত মানুষের ভাষায় প্রকাশযোগ্য হয়ে ওঠে।
সারাংশে, ডিকোডার এমন একটি লজিক সার্কিট যা যান্ত্রিক ভাষাকে বুঝে মানুষের জন্য বোধগম্য করে তোলে।
কম্পিউটার যেহেতু কেবলমাত্র যান্ত্রিক ভাষা বা বাইনারি ভাষা (০ ও ১) বোঝে, তাই মানুষ ও যন্ত্রের মধ্যে যোগাযোগের জন্য একটি মধ্যস্থতাকারী লজিক সার্কিট প্রয়োজন হয়। এই লজিক সার্কিটের নাম ডিকোডার (Decoder)।
✅ ডিকোডার কী?
ডিকোডার হলো একটি কম্বিনেশনাল লজিক সার্কিট, যা একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক বাইনারি ইনপুট গ্রহণ করে তার ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট আউটপুট তৈরি করে। এটি ইনপুটে থাকা বাইনারি কোডগুলোকে এমন আকারে রূপান্তর করে, যা মানুষের পক্ষে বোধগম্য এবং প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে।
✅ ডিকোডারের কাজ:
১. কম্পিউটারের মেমোরি, ইনস্ট্রাকশন সেট বা যেকোনো যান্ত্রিক কমান্ড সাধারণত বাইনারি কোডে থাকে।
২. এই কোডগুলোকে বোঝার জন্য ডিকোডার ইনপুট হিসেবে নেয় বাইনারি সংকেত।
3. তারপর এই সংকেতকে একটি নির্দিষ্ট আউটপুটে রূপান্তর করে, যেটি মানুষ বোঝে বা সফটওয়্যার প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহার করে।
✅ উদাহরণ:
ধরা যাক একটি 2-to-4 ডিকোডার, যার ২টি ইনপুট এবং ৪টি আউটপুট রয়েছে।
এই টেবিল থেকে দেখা যাচ্ছে, নির্দিষ্ট বাইনারি ইনপুট অনুযায়ী নির্দিষ্ট একটি আউটপুট সক্রিয় হয়, যা নির্দেশ করে কী কাজ সম্পন্ন হবে।
✅ ব্যবহারের ক্ষেত্র:
কম্পিউটার মেমোরি অ্যাক্সেসে
ইনস্ট্রাকশন ডিকোডিং-এ
মাইক্রোপ্রসেসরের অপারেশন সিলেকশনে
ডিসপ্লে ইউনিটে সেগমেন্ট চালনায়
✅ উপসংহার:
ডিকোডার এমন একটি লজিক সার্কিট, যা যান্ত্রিক বা বাইনারি ভাষাকে একটি অর্থবোধক আকারে রূপান্তর করে দেয়। এটি মানুষের ভাষায় বা ব্যবহারযোগ্য ফরম্যাটে সংকেত উপস্থাপন করে। তাই, ডিকোডার হলো সেই লজিক সার্কিট যা যান্ত্রিক ভাষাকে মানুষের ভাষায় বোঝানোর উপযোগী করে তোলে।
কম্পিউটার একটি ডিজিটাল যন্ত্র, যা কেবলমাত্র বাইনারি ভাষা (০ এবং ১) বা যান্ত্রিক ভাষা বোঝে। মানুষ স্বাভাবিকভাবে ভাষা, প্রতীক, সংখ্যা ও চিহ্ন ব্যবহার করে যোগাযোগ করে, যা ডিজিটাল যন্ত্র সরাসরি বুঝতে পারে না।
এই ব্যবধান পূরণ করতে ব্যবহৃত হয় ডিকোডার (Decoder) নামক একটি লজিক সার্কিট, যা যান্ত্রিক ভাষাকে মানুষের ভাষায় অথবা মানব-উপযোগী সংকেতে রূপান্তর করে।
✅ ডিকোডার কী?
ডিকোডার হলো একটি কম্বিনেশনাল লজিক সার্কিট, যা N সংখ্যক বাইনারি ইনপুট গ্রহণ করে, এবং সাধারণভাবে 2ⁿ সংখ্যক আউটপুট তৈরি করে। এটি প্রতিটি ইনপুট সংমিশ্রণের জন্য একটি নির্দিষ্ট আউটপুটকে অ্যাকটিভ (Active) করে।
✅ প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা:
🧠 যান্ত্রিক ভাষা কীভাবে কাজ করে?
কম্পিউটারে তথ্য এবং নির্দেশাবলী বাইনারি কোড হিসেবে সংরক্ষিত ও প্রক্রিয়াকৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ, একটি প্রসেসরের কাছে “যোগ করো” (ADD), “বিয়োগ করো” (SUB) ইত্যাদি কমান্ড আসলে নির্দিষ্ট বাইনারি কোডে থাকে, যেমন:
ADD = 0001
SUB = 0010
MUL = 0011
DIV = 0100
🧠 এই কোডগুলোকে বুঝবে কে?
প্রসেসরের কন্ট্রোল ইউনিট (Control Unit) একটি লজিক সার্কিট ব্যবহার করে এই বাইনারি ইনস্ট্রাকশনগুলোকে ডিকোড করে। আর এই কাজের জন্য ব্যবহৃত হয় ডিকোডার।
✅ ডিকোডারের গঠন (Structure):
একটি সাধারণ n-to-2ⁿ ডিকোডার-এ:
ইনপুট সংখ্যা = n
আউটপুট সংখ্যা = 2ⁿ
প্রতিটি আউটপুট = একটি নির্দিষ্ট ইনপুট সংমিশ্রণের জন্য HIGH (1)
📊 উদাহরণস্বরূপ – 3-to-8 ডিকোডার:
এই আউটপুট অনুযায়ী, প্রসেসর জানে কোন ইনস্ট্রাকশনটি কার্যকর করতে হবে।
✅ ডিকোডারের ব্যবহার ও প্রাসঙ্গিকতা:
১. ইনস্ট্রাকশন ডিকোডিং: প্রসেসরের কন্ট্রোল ইউনিট ইনস্ট্রাকশন রেজিস্টার থেকে বাইনারি কোড গ্রহণ করে, এবং ডিকোডার ব্যবহার করে তা নির্দিষ্ট অপারেশনে রূপান্তর করে।
২. মেমোরি অ্যাড্রেসিং: মেমোরির ঠিকানা নির্বাচন করার সময় কোন মেমোরি লোকেশন অ্যাকটিভ হবে, তা নির্ধারণে ডিকোডার ব্যবহৃত হয়।
৩. ডিজিটাল ডিসপ্লেতে: বাইনারি কোডকে ৭-সেগমেন্ট ডিসপ্লে বা LCD স্ক্রিনে অর্থবোধক অক্ষর ও সংখ্যা হিসেবে প্রদর্শনে ডিকোডার ব্যবহার হয়।
৪. মাইক্রোকন্ট্রোলার ও এমবেডেড সিস্টেমে: ইনপুট কমান্ড অনুযায়ী নির্দিষ্ট পিন বা ফাংশন অ্যাকটিভ করার জন্য ডিকোডার ব্যবহৃত হয়।
✅ সারাংশ:
ডিকোডার হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ লজিক সার্কিট, যা কম্পিউটারের যান্ত্রিক ভাষা অর্থাৎ বাইনারি সংকেতকে ডিকোড করে তা মানব-উপযোগী ও কার্যকর সংকেতে রূপান্তর করে। এজন্যই বলা হয়:
“ডিকোডারই সেই লজিক সার্কিট যা যান্ত্রিক ভাষাকে মানুষের ভাষায় বোঝানোর উপযোগী করে তোলে।”