Join ProshnoUttor today! Ask, answer, and share knowledge—earn points, revenue, and rewards while learning with a global community. Sign up now and start your journey!
Welcome back to ProshnoUttor! Log in to explore, contribute, and earn rewards while learning with our global community. Let’s get started!
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
ধ্রুবক কী?
ধ্রুবক (Constant) বলতে এমন একটি পরিমাণ বোঝায়, যা কোনো নির্দিষ্ট পরিসরে অপরিবর্তিত থাকে এবং এর মান কখনো পরিবর্তিত হয় না। কম্পিউটার বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি (আইসিটি) বইয়ের ধারণায়, ধ্রুবক এমন একটি মান, যা প্রোগ্রামিং ভাষা বা গাণিতিক সূত্রে ব্যবহৃত হলে তার মান একটি নির্দিষ্ট স্থানে একে অপরের সমান থাকে।Read more
ধ্রুবক (Constant) বলতে এমন একটি পরিমাণ বোঝায়, যা কোনো নির্দিষ্ট পরিসরে অপরিবর্তিত থাকে এবং এর মান কখনো পরিবর্তিত হয় না। কম্পিউটার বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি (আইসিটি) বইয়ের ধারণায়, ধ্রুবক এমন একটি মান, যা প্রোগ্রামিং ভাষা বা গাণিতিক সূত্রে ব্যবহৃত হলে তার মান একটি নির্দিষ্ট স্থানে একে অপরের সমান থাকে।
ধ্রুবক দুটি ধরনের হতে পারে:
সংখ্যাগত ধ্রুবক: যেমন, ৩.১৪১ (π), যা বৃত্তের পরিসীমা ও ব্যাসের অনুপাত নির্দেশ করে এবং এর মান কখনো পরিবর্তিত হয় না।
বৈশিষ্টিক ধ্রুবক: যেমন, গ (গুরুত্বজনক গতির ধ্রুবক), যার মান পৃথিবীর পৃষ্ঠে ৯.৮ মিটার/সেকেন্ড²।
ধ্রুবক সাধারণত প্রোগ্রামিং বা গণনা ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়, যেখানে মানটি পরিবর্তন না হয়ে নির্দিষ্ট থাকে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আমরা কোনো প্রোগ্রামে π ব্যবহার করি, তবে তার মান সবসময় ৩.১৪১৬ থাকবে।
আইসিটি প্রোগ্রামিংয়ে ধ্রুবক ব্যবহারের উদ্দেশ্য হলো এমন কিছু মান প্রদান করা যা প্রোগ্রামে বা গাণিতিক মডেলে পরিবর্তনশীল নয় এবং যে কারণে ব্যবহারকারীরা বা প্রোগ্রামটি নির্ভুলভাবে নির্দিষ্ট মানের ওপর নির্ভর করতে পারে।
See lessসি (C) কে মধ্যস্তরের ভাষা বলা হয় কেন?
সি (C) ভাষাকে মধ্যস্তরের ভাষা বলা হয় কারণ এটি উচ্চ স্তরের ভাষার সুবিধা এবং নিম্ন স্তরের ভাষার কার্যকারিতা উভয়ই প্রদান করে। সি ভাষা উচ্চ স্তরের ভাষার মতো সহজে মানুষের বোঝার উপযোগী এবং কম্পিউটারের অপারেশন সম্বন্ধে বিস্তারিত জানার প্রয়োজন কম করে। তবে, এটি কম্পিউটার সিস্টেমের হার্ডওয়্যার বা সিস্টেমের নিRead more
সি (C) ভাষাকে মধ্যস্তরের ভাষা বলা হয় কারণ এটি উচ্চ স্তরের ভাষার সুবিধা এবং নিম্ন স্তরের ভাষার কার্যকারিতা উভয়ই প্রদান করে। সি ভাষা উচ্চ স্তরের ভাষার মতো সহজে মানুষের বোঝার উপযোগী এবং কম্পিউটারের অপারেশন সম্বন্ধে বিস্তারিত জানার প্রয়োজন কম করে। তবে, এটি কম্পিউটার সিস্টেমের হার্ডওয়্যার বা সিস্টেমের নিকটবর্তী কনফিগারেশন সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে, যেমন পয়েন্টার এবং মেমরি অ্যাড্রেসিং। এই কারণে সি ভাষার মাধ্যমে কম্পিউটারকে দ্রুত এবং দক্ষতার সাথে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়, যা তাকে মধ্যস্তরের ভাষা হিসেবে পরিচিত করে।
See lessসংখ্যা পদ্ধতির বেস কী?
সংখ্যা পদ্ধতির বেস (Base of a Number System): সংখ্যা পদ্ধতির বেস (বা ভিত্তি) হল একটি সংখ্যাসমূহের গঠন পদ্ধতি, যা নির্ধারণ করে কিভাবে সংখ্যাগুলি কৃত্রিম বা প্রকৃত অঙ্কের সাহায্যে প্রকাশ করা হবে। প্রতিটি সংখ্যা পদ্ধতির মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা থাকে যা অঙ্কগুলির পরিমাণ সীমাবদ্ধ করে এবং সেই পরিমাণে সRead more
সংখ্যা পদ্ধতির বেস (Base of a Number System):
সংখ্যা পদ্ধতির বেস (বা ভিত্তি) হল একটি সংখ্যাসমূহের গঠন পদ্ধতি, যা নির্ধারণ করে কিভাবে সংখ্যাগুলি কৃত্রিম বা প্রকৃত অঙ্কের সাহায্যে প্রকাশ করা হবে। প্রতিটি সংখ্যা পদ্ধতির মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা থাকে যা অঙ্কগুলির পরিমাণ সীমাবদ্ধ করে এবং সেই পরিমাণে সংখ্যাগুলি গঠিত হয়।
এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধারণা, কারণ কোনো সংখ্যাকে সঠিকভাবে বুঝতে বা রূপান্তর করতে হলে, তার পদ্ধতি এবং বেস সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকা প্রয়োজন।
সংখ্যা পদ্ধতির বেসের ধারণা:
বেস সাধারণভাবে একটি মৌলিক সংখ্যা বা সংখ্যা পদ্ধতির গঠনগত ভিত্তি যা নির্ধারণ করে কতগুলো আলাদা অঙ্ক (Digits) ব্যবহার করা যাবে। এই বেসের উপরে ভিত্তি করে সংখ্যা গঠন করা হয়। আমরা সাধারণত বেস সংখ্যা হিসেবে এর মান নির্ধারণ করি, যেমন ১০ (দশমিক), ২ (বাইনারি), ৮ (অকটাল), ১৬ (হেক্সাডেসিমাল) ইত্যাদি।
একটি সংখ্যা পদ্ধতিতে, সংখ্যা গঠন প্রক্রিয়া হল সংখ্যার প্রত্যেকটি অঙ্কের মান ওই পদ্ধতির বেসের উপর নির্ভরশীল।
বেস কিভাবে কাজ করে?
ধরা যাক, আমাদের একটি সংখ্যা আছে:
N = (a_n * b^n) + (a_(n-1) * b^(n-1)) + ... + (a_1 * b^1) + (a_0 * b^0)
, যেখানে:b
হলো বেস (যেমন ২, ১০, ৮, ১৬)a_n, a_(n-1), ..., a_0
হলো সংখ্যা পদ্ধতির অঙ্কগুলি।এখানে প্রতিটি অঙ্ক
a_i
এর মান তার স্থানীয় অবস্থান অনুযায়ী গুণ করা হয় বেসের পাওয়ার দ্বারা (যেমন b^0, b^1, b^2, …)।অথবা সহজ ভাষায়, সংখ্যা গঠন করার জন্য একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়, যেখানে বেসের যোগফলে সংখ্যা গঠিত হয়।
বিভিন্ন সংখ্যা পদ্ধতির বেস:
দশমিক (Decimal) সংখ্যা পদ্ধতি (বেস ১০):
দশমিক পদ্ধতিতে ১০টি অঙ্ক ব্যবহৃত হয় (০ থেকে ৯)। এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত সংখ্যা পদ্ধতি।
উদাহরণ:
276
এর মান হবে:2×102+7×101+6×100=200+70+6=276
অর্থাৎ, ২ শত, ৭ দশক এবং ৬ একক।
বাইনারি (Binary) সংখ্যা পদ্ধতি (বেস ২):
বাইনারি পদ্ধতিতে মাত্র ২টি অঙ্ক ব্যবহৃত হয়: ০ এবং ১। এটি কম্পিউটারে গাণিতিক অপারেশন বা সংখ্যা স্টোরেজের জন্য ব্যবহার করা হয়। উদাহরণ:
1101
এর মান হবে:1×23+1×22+0×21+1×20=8+4+0+1=13
অর্থাৎ, বাইনারি
1101
দশমিক সংখ্যায় ১৩।অকটাল (Octal) সংখ্যা পদ্ধতি (বেস ৮):
অকটাল পদ্ধতিতে ৮টি অঙ্ক ব্যবহৃত হয়: ০ থেকে ৭। এটি সাধারণত কম্পিউটারের কম্পিউটেশনাল অপারেশন বা কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণ:
374
এর মান হবে:3×82+7×81+4×80=192+56+4=252
অর্থাৎ, অকটাল
374
দশমিক সংখ্যায় ২৫২।হেক্সাডেসিমাল (Hexadecimal) সংখ্যা পদ্ধতি (বেস ১৬):
হেক্সাডেসিমাল পদ্ধতিতে ১৬টি অঙ্ক ব্যবহৃত হয়: ০ থেকে ৯ পর্যন্ত সংখ্যা এবং A থেকে F পর্যন্ত অক্ষর (যেখানে A=10, B=11, C=12, D=13, E=14, F=15)। উদাহরণ:
2F3
এর মান হবে:2×162+15×161+3×160=512+240+3=755
অর্থাৎ, হেক্সাডেসিমাল
2F3
দশমিক সংখ্যায় ৭৫৫।বেসের প্রভাব:
সংখ্যা পদ্ধতির বেস শুধুমাত্র সংখ্যার গঠন প্রক্রিয়া প্রভাবিত করে না, বরং এটি গাণিতিক অপারেশন, ম্যাথমেটিক্যাল রূপান্তর এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানে নানা গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলী পরিচালনা করে।
যেমন:
কনভার্শন (Conversion): এক বেস থেকে অন্য বেসে সংখ্যা রূপান্তর করা। উদাহরণস্বরূপ, বাইনারি সংখ্যা থেকে দশমিক সংখ্যা বা হেক্সাডেসিমাল থেকে বাইনারি রূপান্তর।
গাণিতিক অপারেশন: যেমন যোগ, বিয়োগ, গুণ এবং ভাগ, যা বেসের উপর ভিত্তি করে ভিন্ন ভিন্নভাবে কাজ করতে পারে। কম্পিউটারের জন্য বাইনারি গাণিতিক অপারেশন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
কম্পিউটার প্রসেসিং: কম্পিউটার শুধুমাত্র বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করে। এখানে তথ্য প্রক্রিয়াকরণ, মেমরি স্টোরেজ, ডেটা ট্রান্সফার সবই বাইনারি গাণিতিক কৌশলের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
বেস পরিবর্তন ও রূপান্তর:
একটি সংখ্যা পদ্ধতি থেকে অন্য পদ্ধতিতে রূপান্তর করার সময়, বেসের কার্যকরী রূপান্তর পদ্ধতি ব্যবহার করতে হয়।
বাইনারি থেকে দশমিক রূপান্তর:
প্রতিটি বাইনারি অঙ্কের অবস্থান (পাওয়ার অফ ২) অনুযায়ী তাদের গুণফল যোগ করা হয়।
দশমিক থেকে বাইনারি রূপান্তর:
দশমিক সংখ্যা দুটি ভাগে ভাগ করে তার ভাগফল দ্বারা গুনফল জমা করা হয়।
হেক্সাডেসিমাল থেকে বাইনারি রূপান্তর:
প্রতিটি হেক্সাডেসিমাল অঙ্ককে বাইনারিতে রূপান্তর করা হয়, এবং পরবর্তীতে একে একত্রিত করা হয়।
উপসংহার:
সংখ্যা পদ্ধতির বেস হচ্ছে গণনা বা ডেটার গঠন এবং প্রসেসিং এর একটি অত্যন্ত মৌলিক এবং গুরুত্বপূর্ণ দিক। এটি শুধুমাত্র সংখ্যাগুলি কীভাবে প্রদর্শিত হবে তা নির্ধারণ করে না, বরং আমাদের গাণিতিক অপারেশন, প্রোগ্রামিং, এবং কম্পিউটেশনাল কৌশলগুলোকে আরও কার্যকর ও দক্ষ করে তোলে। বেসের এই ধারণা বুঝে আমরা কেবল সঠিকভাবে সংখ্যাগুলি গঠন বা রূপান্তর করতে পারি না, বরং ডিজিটাল বিশ্বের একটি গভীরতর বোধ এবং প্রক্রিয়া উপলব্ধি করতে পারি।
See lessইউনিকোডের পূর্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত আলফানিউমেরিক্যাল কোডটি ব্যাখ্যা কর।
ইউনিকোড চালুর পূর্বে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত আলফানিউমেরিক্যাল কোড ছিল ASCII (American Standard Code for Information Interchange)। এটি 1960 সালের দিকে আমেরিকান ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টিটিউট (ANSI) কর্তৃক প্রবর্তিত হয় এবং কম্পিউটার ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য একটিRead more
ইউনিকোড চালুর পূর্বে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত আলফানিউমেরিক্যাল কোড ছিল ASCII (American Standard Code for Information Interchange)। এটি 1960 সালের দিকে আমেরিকান ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টিটিউট (ANSI) কর্তৃক প্রবর্তিত হয় এবং কম্পিউটার ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড কোড হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে।
ASCII কোডের বিবরণ:
ক্যারেক্টার সংখ্যা:
ASCII মোট ১২৮টি ক্যারেক্টার সাপোর্ট করে। এর মধ্যে:
৩৩টি কন্ট্রোল ক্যারেক্টার (যেমন: Enter, Backspace, Tab ইত্যাদি)
৯৫টি প্রিন্টেবল ক্যারেক্টার (যেমন: A–Z, a–z, 0–9, বিভিন্ন চিহ্ন)
বিট ব্যবহার:
ASCII একটি ৭-বিট কোড, অর্থাৎ প্রতিটি ক্যারেক্টার বাইনারি রূপে ৭-বিট দ্বারা প্রকাশ করা হয় (যেমনঃ A = 1000001)। যদিও অধিকাংশ কম্পিউটার ৮-বিট (১ বাইট) ব্যবহার করে, তবুও ASCII-র আসল রূপ ৭-বিট ভিত্তিক।
আলফানিউমেরিক্যাল কাভারেজ:
ASCII কোডে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল:
বড় হাতের ইংরেজি অক্ষর (A–Z): ASCII মান 65–90
ছোট হাতের ইংরেজি অক্ষর (a–z): ASCII মান 97–122
সংখ্যা (0–9): ASCII মান 48–57
বিশেষ চিহ্ন ও সিম্বলস: যেমন @, #, $, %, &, *, (, ), +, ইত্যাদি
কন্ট্রোল ক্যারেক্টার: যেমন Null, Backspace, Carriage Return ইত্যাদি
ASCII কোড ব্যবহারের ক্ষেত্র:
কম্পিউটারে টেক্সট সংরক্ষণ ও প্রদর্শনে
ইন্টারনেট কমিউনিকেশন ও ডেটা ট্রান্সমিশনে
প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে ক্যারেক্টার ডেটা টাইপ হিসেবে
কী-বোর্ড ইনপুটের ভিত্তি হিসেবে
ASCII কোডের সীমাবদ্ধতা:
ASCII কেবলমাত্র ইংরেজি ভাষার অক্ষর, সংখ্যা ও কিছু নির্দিষ্ট চিহ্ন সাপোর্ট করে।
এতে বাংলা, চীনা, আরবি, হিন্দি বা অন্যান্য ভাষার অক্ষর সাপোর্ট করে না।
ফলে বৈশ্বিক তথ্য বিনিময়ে অসুবিধা হতো।
ASCII কোড একসময় আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত ও বহুল ব্যবহৃত ছিল। তবে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার অক্ষর সঠিকভাবে এনকোড করার জন্য ASCII পর্যাপ্ত ছিল না। এই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার জন্য Unicode চালু করা হয়, যা বর্তমানে বিভিন্ন ভাষা ও স্ক্রিপ্ট সাপোর্ট করে।
See lessবুলিয়ান স্বতঃসিদ্ধ কী?
বুলিয়ান স্বতঃসিদ্ধ (Boolean Axioms) হলো কিছু মৌলিক নিয়ম বা সূত্র যা বুলিয়ান বীজগণিতে সবসময় সত্য হিসেবে বিবেচিত হয়। এগুলো প্রমাণ করার প্রয়োজন হয় না। এগুলোকে Self-evident truths বা মৌলিক সত্য বলা হয়, কারণ এগুলোর সত্যতা প্রশ্নাতীত। বুলিয়ান স্বতঃসিদ্ধের শ্রেণিবিভাগ: বুলিয়ান বীজগণিতে ৮টি প্রধান স্বতঃসিদ্Read more
বুলিয়ান স্বতঃসিদ্ধ (Boolean Axioms) হলো কিছু মৌলিক নিয়ম বা সূত্র যা বুলিয়ান বীজগণিতে সবসময় সত্য হিসেবে বিবেচিত হয়। এগুলো প্রমাণ করার প্রয়োজন হয় না। এগুলোকে Self-evident truths বা মৌলিক সত্য বলা হয়, কারণ এগুলোর সত্যতা প্রশ্নাতীত।
বুলিয়ান স্বতঃসিদ্ধের শ্রেণিবিভাগ:
বুলিয়ান বীজগণিতে ৮টি প্রধান স্বতঃসিদ্ধ সূত্র রয়েছে। এগুলোর সাহায্যে লজিক ফাংশন সহজ করা হয় এবং ডিজিটাল সার্কিট ডিজাইনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
🔹 ১. পরিচয় সূত্র (Identity Law):
OR পরিচয় সূত্র:
A+0=A
ব্যাখ্যা: যদি কোনো ভেরিয়েবলের সাথে 0 OR করা হয়, তাহলে ফলাফল সেই ভেরিয়েবলই হবে।
AND পরিচয় সূত্র:
A⋅1=A
ব্যাখ্যা: যদি কোনো ভেরিয়েবলের সাথে 1 AND করা হয়, তাহলে ফলাফল সেই ভেরিয়েবলই হবে।
🔹 ২. শূন্য ও এক সূত্র (Null and Unity Law):
A+1=1
ব্যাখ্যা: কোনো ভেরিয়েবলের সাথে 1 OR করলে ফলাফল সর্বদা 1 হয়।
A⋅0=0
ব্যাখ্যা: কোনো ভেরিয়েবলের সাথে 0 AND করলে ফলাফল সর্বদা 0 হয়।
🔹 ৩. আত্ম-পরিচয় সূত্র (Idempotent Law):
A+A=A
A⋅A=A
ব্যাখ্যা: কোনো ভেরিয়েবলের সাথে নিজেকে OR বা AND করলে ফলাফল ঐ ভেরিয়েবলই থাকে।
🔹 ৪. পরস্পর বিপরীত সূত্র (Complement Law):
A+A′=1
A⋅A′=0
ব্যাখ্যা: কোনো ভেরিয়েবলের সাথে তার বিপরীত মান (NOT) OR করলে 1 হয়, AND করলে 0 হয়।
🔹 ৫. ডুয়ালিটি সূত্র (Duality Law):
একটি সূত্র থেকে অপর একটি সূত্র পাওয়া যায় যদি:
OR (+) পরিবর্তে AND (·) এবং
1 পরিবর্তে 0 করে ফেলা হয় এবং উল্টোটা।
উদাহরণ:
A+0=A এর ডুয়াল হচ্ছে A⋅1=A
🔹 ৬. কোমিউটেটিভ সূত্র (Commutative Law):
A+B=B+A
A⋅B=B⋅A
ব্যাখ্যা: OR বা AND করার ক্ষেত্রে operand-এর বিন্যাস পরিবর্তন করলে ফলাফল একই থাকে।
🔹 ৭. অ্যাসোসিয়েটিভ সূত্র (Associative Law):
A+(B+C)=(A+B)+C
A⋅(B⋅C)=(A⋅B)⋅C
ব্যাখ্যা: একাধিক operand-এর মধ্যে গ্রুপিং কিভাবে করা হচ্ছে, সেটি পরিবর্তন করলেও ফলাফল একই থাকে।
🔹 ৮. ডিস্ট্রিবিউটিভ সূত্র (Distributive Law):
A⋅(B+C)=A⋅B+A⋅C
A+(B⋅C)=(A+B)⋅(A+C)
ব্যাখ্যা: AND ও OR অপারেশন একে অপরের উপর বিতরণযোগ্য।
✅ উদাহরণ সহ প্রয়োগ:
বুলিয়ান স্বতঃসিদ্ধ সূত্রগুলো লজিক সার্কিট ডিজাইন ও সরলীকরণে ব্যবহার হয়। যেমন:
যদি কোনো সার্কিটে A+A⋅B থাকে, তাহলে Distributive Law ব্যবহার করে এটিকে সরল করে লেখা যায়:
A+A⋅B=A(1+B)=A⋅1=A
🧮 সারাংশ টেবিল:
🔚 উপসংহার:
বুলিয়ান স্বতঃসিদ্ধ বা সূত্রগুলো বুলিয়ান বীজগণিতের ভিত্তি। এদের সাহায্যে লজিক ফাংশনকে সরল করা যায় এবং ডিজিটাল সার্কিট ডিজাইনকে কার্যকর ও খরচ সাশ্রয়ী করা যায়। তাই এগুলোকে বুঝে নেওয়া ডিজিটাল ইলেকট্রনিকস ও কম্পিউটার বিজ্ঞানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যারে কী?
অ্যারে (Array) হলো একই ধরনের একাধিক ডেটা বা উপাদানকে একটি নির্দিষ্ট নামের অধীনে সংরক্ষণের একটি বিশেষ পদ্ধতি। অ্যারেতে প্রতিটি উপাদান একটি নির্দিষ্ট অবস্থানে থাকে, যাকে ইনডেক্স (Index) বলা হয়। এই ইনডেক্সের মাধ্যমে অ্যারের প্রতিটি উপাদানে সহজেই প্রবেশ বা এক্সেস করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি অ্যারে হRead more
অ্যারে (Array) হলো একই ধরনের একাধিক ডেটা বা উপাদানকে একটি নির্দিষ্ট নামের অধীনে সংরক্ষণের একটি বিশেষ পদ্ধতি। অ্যারেতে প্রতিটি উপাদান একটি নির্দিষ্ট অবস্থানে থাকে, যাকে ইনডেক্স (Index) বলা হয়। এই ইনডেক্সের মাধ্যমে অ্যারের প্রতিটি উপাদানে সহজেই প্রবেশ বা এক্সেস করা যায়।
See lessউদাহরণস্বরূপ, যদি একটি অ্যারে হয়
marks[5]
, তাহলে এতে ৫টি সংখ্যার মান রাখা যাবে — যেমন:marks[0]
,marks[1]
, …,marks[4]
। এখানে0
থেকে শুরু করে4
পর্যন্ত ইনডেক্স ব্যবহার করা হয়েছে।সারাংশ:
অ্যারে হলো একই ধরনের ডেটার একটি সংগ্রহ, যা একটি নাম এবং ইনডেক্সের মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়। এটি প্রোগ্রামিংয়ে অনেক উপাদানকে সহজে পরিচালনা করতে সাহায্য করে।