Join ProshnoUttor today! Ask, answer, and share knowledge—earn points, revenue, and rewards while learning with a global community. Sign up now and start your journey!
Welcome back to ProshnoUttor! Log in to explore, contribute, and earn rewards while learning with our global community. Let’s get started!
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
মৃৎ ক্ষার ধাতু কাকে বলে?
মৃৎ ক্ষার ধাতু (Alkaline Earth Metals) হলো মৌলিক পর্যায় সারণির দ্বিতীয় গ্রুপের (Group-2) ধাতুগুলি। এদেরকে মৃৎ ক্ষার ধাতু বলা হয় কারণ এদের অক্সাইড পানি যুক্ত হলে ক্ষারীয় ধর্ম প্রকাশ করে এবং এদের অক্সাইড ও হাইড্রোক্সাইড মাটিতে পাওয়া যায়। এই শ্রেণির ধাতুগুলোর মধ্যে রয়েছে — বেরিলিয়াম (Be), ম্যাগনRead more
মৃৎ ক্ষার ধাতু (Alkaline Earth Metals) হলো মৌলিক পর্যায় সারণির দ্বিতীয় গ্রুপের (Group-2) ধাতুগুলি। এদেরকে মৃৎ ক্ষার ধাতু বলা হয় কারণ এদের অক্সাইড পানি যুক্ত হলে ক্ষারীয় ধর্ম প্রকাশ করে এবং এদের অক্সাইড ও হাইড্রোক্সাইড মাটিতে পাওয়া যায়।
এই শ্রেণির ধাতুগুলোর মধ্যে রয়েছে — বেরিলিয়াম (Be), ম্যাগনেশিয়াম (Mg), ক্যালসিয়াম (Ca), স্ট্রনশিয়াম (Sr), ব্যারিয়াম (Ba) এবং রেডিয়াম (Ra)।
গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য:
এই ধাতুগুলোর নাম “মৃৎ ক্ষার” রাখা হয়েছে কারণ প্রাচীনকালে এদের অক্সাইড মাটিতে (মৃৎ) পাওয়া যেত এবং পানি যুক্ত হলে ক্ষারীয় (alkaline) ধর্ম দেখাত।
See lessমৃৎ ক্ষার ধাতু কাকে বলে?
মৃৎ ক্ষার ধাতু (Alkaline Earth Metals) হলো পর্যায় সারণির ২য় গ্রুপভুক্ত ধাতুগুলি। এই গ্রুপে যে মৌলগুলো অন্তর্ভুক্ত, সেগুলো হলো: বেরিলিয়াম (Be) ম্যাগনেশিয়াম (Mg) ক্যালসিয়াম (Ca) স্ট্রনশিয়াম (Sr) ব্যারিয়াম (Ba) রেডিয়াম (Ra) এই ধাতুগুলিকে "মৃৎ ক্ষার ধাতু" বলা হয় কারণ: এদের অক্সাইড মাটিতে (মৃৎ)Read more
মৃৎ ক্ষার ধাতু (Alkaline Earth Metals) হলো পর্যায় সারণির ২য় গ্রুপভুক্ত ধাতুগুলি। এই গ্রুপে যে মৌলগুলো অন্তর্ভুক্ত, সেগুলো হলো:
এই ধাতুগুলিকে “মৃৎ ক্ষার ধাতু” বলা হয় কারণ:
বৈশিষ্ট্যসমূহ:
কিছু গুরুত্বপূর্ণ যৌগ:
মৃৎ ক্ষার ধাতু কাকে বলে?
মৃৎ ক্ষার ধাতু হলো আধুনিক পর্যায় সারণির দ্বিতীয় গ্রুপ (Group-2)-এর ধাতুগুলো, যেগুলোর প্রতিটি পরমাণুর শেষ শক্তিস্তরে ২টি ইলেকট্রন থাকে এবং যেগুলোর অক্সাইড পানিতে দ্রবীভূত হয়ে ক্ষারীয় দ্রবণ তৈরি করে, যদিও তা ক্ষার ধাতুর তুলনায় তুলনামূলকভাবে দুর্বল। এরা ধাতু হিসেবে বেশ সক্রিয়, তবে ক্ষার ধাতুর চেয়ে কিছুRead more
মৃৎ ক্ষার ধাতু হলো আধুনিক পর্যায় সারণির দ্বিতীয় গ্রুপ (Group-2)-এর ধাতুগুলো, যেগুলোর প্রতিটি পরমাণুর শেষ শক্তিস্তরে ২টি ইলেকট্রন থাকে এবং যেগুলোর অক্সাইড পানিতে দ্রবীভূত হয়ে ক্ষারীয় দ্রবণ তৈরি করে, যদিও তা ক্ষার ধাতুর তুলনায় তুলনামূলকভাবে দুর্বল।
এরা ধাতু হিসেবে বেশ সক্রিয়, তবে ক্ষার ধাতুর চেয়ে কিছুটা কম প্রতিক্রিয়াশীল। এদের অক্সাইডকে “earthy oxide” বলা হতো, যা পানি ও অম্লের সাথে ক্ষারীয় প্রকৃতি প্রদর্শন করায়, এদের নামকরণ করা হয় “Alkaline Earth Metals” বা বাংলায় “মৃৎ ক্ষার ধাতু”।
📌 সংক্ষেপে মনে রাখুন:
গ্রুপ-২ এর ধাতু
শেষ শেলে ২টি ইলেকট্রন
অক্সাইড পানিতে → দুর্বল ক্ষার তৈরি
ধাতু অবস্থায় সক্রিয়
নাম এসেছে: “Alkaline” (ক্ষারীয়) + “Earth” (মাটি থেকে পাওয়া)
মৃৎ ক্ষার ধাতু কাকে বলে?
যেসব ধাতু আধুনিক পর্যায় সারণির দ্বিতীয় গ্রুপে (Group-2) অবস্থান করে এবং তাদের অক্সাইড পানিতে দ্রবীভূত হয়ে দুর্বল ক্ষার (alkaline solution) তৈরি করে, তাদেরকে মৃৎ ক্ষার ধাতু (Alkaline Earth Metals) বলা হয়। 🧪 মৃৎ ক্ষার ধাতুগুলোর তালিকা: মৌল প্রতীক পারমাণবিক সংখ্যা বেরিলিয়াম Be 4 ম্যাগনেসিয়াম Mg 12 ক্যাRead more
যেসব ধাতু আধুনিক পর্যায় সারণির দ্বিতীয় গ্রুপে (Group-2) অবস্থান করে এবং তাদের অক্সাইড পানিতে দ্রবীভূত হয়ে দুর্বল ক্ষার (alkaline solution) তৈরি করে, তাদেরকে মৃৎ ক্ষার ধাতু (Alkaline Earth Metals) বলা হয়।
🧪 মৃৎ ক্ষার ধাতুগুলোর তালিকা:
🔬 বিশেষ বৈশিষ্ট্য:
📌 নামকরণের কারণ:
এদের অক্সাইড বা হাইড্রক্সাইড পানিতে দ্রবীভূত হয়ে ক্ষার তৈরি করে → তাই “ক্ষার” শব্দটি এসেছে।
এরা প্রাচীন কালে মাটি থেকে আবিষ্কৃত হয়েছিল → তাই “মৃৎ” (Earth) শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে।
👉 এ কারণেই এদের বলা হয় “মৃৎ ক্ষার ধাতু“।
📚 ব্যবহার:
Ca: সিমেন্ট, ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড, চুন তৈরিতে ব্যবহৃত হয়
Mg: হালকা ধাতু হিসেবে বিমানের অংশ তৈরিতে
Ba: এক্স-রে পরীক্ষায় “বেরিয়াম মিল” নামে ব্যবহৃত হয়
🧠 মনে রাখার কৌশল (নেমোনিক্স):
Be My Classmate Sir BaRan
👉 Be (Beryllium), Mg (Magnesium), Ca (Calcium), Sr (Strontium), Ba (Barium), Ra (Radium)
🔚 উপসংহার:
মৃৎ ক্ষার ধাতু হলো দ্বিতীয় গ্রুপের ধাতুগুলো, যেগুলো সহজেই ২টি ইলেকট্রন ত্যাগ করে ধনাত্মক আয়ন গঠন করে, তাদের অক্সাইড পানিতে দ্রবীভূত হয়ে ক্ষার তৈরি করে, এবং রাসায়নিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অনেক যৌগ গঠনে অংশ নেয়।
See lessমৃৎ ক্ষার ধাতু কাকে বলে?
যেসব ধাতু পর্যায় সারণির দ্বিতীয় গ্রুপে (Group 2) অবস্থান করে এবং পানিতে দুর্বল ক্ষার তৈরি করে, তাদেরকে মৃৎ ক্ষার ধাতু (Alkaline Earth Metals) বলা হয়। 🧪 উদাহরণ: বেরিলিয়াম (Be) ম্যাগনেসিয়াম (Mg) ক্যালসিয়াম (Ca) স্ট্রনটিয়াম (Sr) ব্যারিয়াম (Ba) রেডিয়াম (Ra) 🔬 বিশেষ বৈশিষ্ট্য: বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা 🔹 অবস্থাRead more
যেসব ধাতু পর্যায় সারণির দ্বিতীয় গ্রুপে (Group 2) অবস্থান করে এবং পানিতে দুর্বল ক্ষার তৈরি করে, তাদেরকে মৃৎ ক্ষার ধাতু (Alkaline Earth Metals) বলা হয়।
🧪 উদাহরণ:
বেরিলিয়াম (Be)
ম্যাগনেসিয়াম (Mg)
ক্যালসিয়াম (Ca)
স্ট্রনটিয়াম (Sr)
ব্যারিয়াম (Ba)
রেডিয়াম (Ra)
🔬 বিশেষ বৈশিষ্ট্য:
📌 উপসংহার:
মৃৎ ক্ষার ধাতু হলো পর্যায় সারণির দ্বিতীয় গ্রুপের ধাতুগুলো, যেগুলো পানিতে দুর্বল ক্ষার তৈরি করে এবং বিভিন্ন রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে ক্ষার ধাতুর সাথে সাদৃশ্য রাখে।
See less'F' সর্বাপেক্ষা তড়িৎ ঋণাত্মক মৌল- ব্যাখ্যা কর।
'F' বা ফ্লোরিন হল পর্যায় সারণির সপ্তম প্রধান শ্রেণির (Group-17) একটি হ্যালোজেন মৌল। এটি সবচেয়ে তড়িৎ ঋণাত্মক মৌল হিসেবে পরিচিত। এর প্রধান কারণগুলো নিচে ব্যাখ্যা করা হলো: আণবিক আকার ছোট: ফ্লোরিনের আণবিক আকার খুব ছোট, ফলে এর ভ্যালেন্স শেল নিউক্লিয়াসের খুব কাছে থাকে। তাই নিউক্লিয়াসের আকর্ষণ ক্ষমতাRead more
‘F’ বা ফ্লোরিন হল পর্যায় সারণির সপ্তম প্রধান শ্রেণির (Group-17) একটি হ্যালোজেন মৌল। এটি সবচেয়ে তড়িৎ ঋণাত্মক মৌল হিসেবে পরিচিত। এর প্রধান কারণগুলো নিচে ব্যাখ্যা করা হলো:
ফলে, ফ্লোরিন সবচেয়ে তড়িৎ ঋণাত্মক মৌল কারণ এটি ইলেকট্রন গ্রহণে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী। রসায়নের ভাষায়, ফ্লোরিনের তড়িৎ ঋণাত্মকতা (Electronegativity) এর মান ৩.৯৮, যা যেকোনো মৌলের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এই কারণে ফ্লোরিনকে সর্বাপেক্ষা তড়িৎ ঋণাত্মক মৌল বলা হয়।
See lessবলের ঘাত কী?
যে পরিমাণ বল খুব অল্প সময়ের জন্য কোনো বস্তুর উপর কার্যকর হয়ে তার ভরবেগ পরিবর্তন ঘটায়, সেই বল ও সময়ের গুণফলকে ঘাত (Impulse) বলে। 🧮 গাণিতিক রূপ: ঘাত (J)=বল (F)×সময় (t)=Δp=mv−mu\text{ঘাত (J)} = \text{বল (F)} \times \text{সময় (t)} = \Delta p = mv - muঘাত (J)=বল (F)×সময় (t)=Δp=mv−mu এখানে, JJJ = ঘাত FFFRead more
যে পরিমাণ বল খুব অল্প সময়ের জন্য কোনো বস্তুর উপর কার্যকর হয়ে তার ভরবেগ পরিবর্তন ঘটায়, সেই বল ও সময়ের গুণফলকে ঘাত (Impulse) বলে।
🧮 গাণিতিক রূপ:
ঘাত (J)=বল (F)×সময় (t)=Δp=mv−mu
এখানে,
J = ঘাত
F = বল
t = বল প্রয়োগের সময়
Δp = ভরবেগের পরিবর্তন
m = ভর
u, v = প্রাথমিক ও চূড়ান্ত বেগ
⚖️ একক (SI Unit):
নিউটন-সেকেন্ড (N·s)
বিকল্পভাবে: কেজি·মি/সেকেন্ড (kg·m/s)
📘 ঘাত ও ভরবেগের সম্পর্ক:
ঘাত=ভরবেগের পরিবর্তন
এই সম্পর্ককে ঘাত-ভরবেগ উপপাদ্য (Impulse-Momentum Theorem) বলা হয়।
🎯 বাস্তব উদাহরণ:
ক্রিকেট ক্যাচ ধরা:
খেলোয়াড় ক্যাচ ধরার সময় হাতে বল নামিয়ে ধরে, এতে সময় বৃদ্ধি পায়, ফলে ঘাত কমে এবং আঘাত লাগে না।
হাতুড়ি দিয়ে পেরেক মারা:
অল্প সময়ের মধ্যে বড় বল প্রয়োগ করে বেশি ঘাত তৈরি করা হয়।
📌 সংক্ষেপে মনে রাখার নিয়ম:
বল × সময় = ঘাত
ঘাত = ভরবেগের পরিবর্তন
একক = N·s
বলের ঘাত কী?
যখন কোনো বল অতি স্বল্প সময়ের জন্য কোনো বস্তুর উপর প্রয়োগ করা হয় এবং তাতে বস্তুর ভরবেগে পরিবর্তন ঘটে, তখন বল ও সময়ের গুণফলকে ঘাত (Impulse) বলা হয়। এটি বস্তুর ভরবেগ পরিবর্তনের সমান। গাণিতিকভাবে: ঘাত (J)=বল (F)×সময় (t)=Δp\text{ঘাত (J)} = \text{বল (F)} \times \text{সময় (t)} = \Delta pঘাত (J)=বল (F)×সময় Read more
যখন কোনো বল অতি স্বল্প সময়ের জন্য কোনো বস্তুর উপর প্রয়োগ করা হয় এবং তাতে বস্তুর ভরবেগে পরিবর্তন ঘটে, তখন বল ও সময়ের গুণফলকে ঘাত (Impulse) বলা হয়। এটি বস্তুর ভরবেগ পরিবর্তনের সমান।
গাণিতিকভাবে:
ঘাত (J)=বল (F)×সময় (t)=Δp
ঘাতের এস.আই. একক:
নিউটন-সেকেন্ড (N·s)
সারাংশ:
See lessঘাত হলো বল ও সময়ের গুণফল, যা ভরবেগের পরিবর্তন নির্দেশ করে।
বলের ঘাত কী?
বলের ঘাত (Impulse) হলো এমন একটি ধারণা, যা কোনো বস্তুর উপর খুব অল্প সময়ের জন্য প্রযুক্ত বলের প্রভাব বোঝায়। এটি বস্তুর গতিবেগের পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত। সহজ কথায়, বলের ঘাত হলো বল এবং সেই বল প্রয়োগের সময়ের গুণফল। এটি একটি ভেক্টর রাশি, অর্থাৎ এর মান এবং দিক উভয়ই থাকে। চলো, এটি পাঠ্যবইয়ের মতো সহRead more
বলের ঘাত (Impulse) হলো এমন একটি ধারণা, যা কোনো বস্তুর উপর খুব অল্প সময়ের জন্য প্রযুক্ত বলের প্রভাব বোঝায়। এটি বস্তুর গতিবেগের পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত। সহজ কথায়, বলের ঘাত হলো বল এবং সেই বল প্রয়োগের সময়ের গুণফল। এটি একটি ভেক্টর রাশি, অর্থাৎ এর মান এবং দিক উভয়ই থাকে। চলো, এটি পাঠ্যবইয়ের মতো সহজভাবে বুঝি, যেন তুমি ক্লাসে শিক্ষকের কাছ থেকে শিখছো।
বলের ঘাত কী?
ধরো, তুমি একটি ফুটবলকে লাথি মারলে। লাথি মারার সময় তুমি বল প্রয়োগ করো, আর এই বল খুব অল্প সময়ের জন্য কাজ করে। এই বলের প্রভাবে ফুটবলের গতি বা দিক পরিবর্তন হয়। বলের ঘাত হলো এই বল এবং এটি যে সময় পর্যন্ত কাজ করে, তার সম্মিলিত প্রভাব।
পাঠ্যবইয়ে বলের ঘাতকে গাণিতিকভাবে প্রকাশ করা হয় এভাবে: [ \text{বলের ঘাত (J)} = \text{বল (F)} \times \text{সময় (t)} ] অর্থাৎ, ( J = F \cdot t )
যদি বল ধ্রুবক না হয়, তবে আমরা গড় বল ব্যবহার করি।
বলের ঘাতের সংজ্ঞা
বলের ঘাত হলো কোনো বস্তুর উপর প্রযুক্ত বলের সময়-গুণফল, যা বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের সমান। নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র অনুযায়ী, বল হলো ভরবেগের পরিবর্তনের হার। যখন আমরা বলকে সময় দিয়ে গুণ করি, তখন এটি ভরবেগের পরিবর্তনের সমান হয়। গাণিতিকভাবে: [ J = F \cdot t = \Delta p ] এখানে, (\Delta p) হলো ভরবেগের পরিবর্তন ((\Delta p = m \cdot \Delta v)), যেখানে (m) হলো বস্তুর ভর এবং (\Delta v) হলো গতিবেগের পরিবর্তন।
সহজ কথায়: বলের ঘাত বলে দেয় কোনো বস্তুর গতি কতটা পরিবর্তন হবে যখন তুমি এটির উপর বল প্রয়োগ করো।
বলের ঘাতের বৈশিষ্ট্য
ভেক্টর রাশি:
বলের ঘাত একটি ভেক্টর রাশি। এর দিক বলের দিকের মতোই হয়।
উদাহরণ: তুমি যদি ফুটবলকে পূর্ব দিকে লাথি মারো, তবে বলের ঘাতও পূর্ব দিকে হবে।
ভরবেগের পরিবর্তনের সমান:
বলের ঘাত সরাসরি বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের সমান। এটি ভরবেগ সংরক্ষণ সূত্রের সাথে সম্পর্কিত।
উদাহরণ: তুমি যদি একটি ১ কেজি বস্তুকে ২ সেকেন্ডের জন্য ৫ নিউটন বল প্রয়োগ করো, তবে বলের ঘাত হবে: [ J = F \cdot t = 5 \cdot 2 = 10 , \text{kg·m/s} ] এটি বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের সমান।
অল্প সময়ের প্রভাব:
বলের ঘাত সাধারণত খুব অল্প সময়ের জন্য প্রযুক্ত বলের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যেমন সংঘর্ষ, লাথি মারা, বা হাতুড়ি দিয়ে পেরেক মারা।
উদাহরণ: ক্রিকেটে ব্যাট দিয়ে বল মারার সময় খুব অল্প সময়ের জন্য বল প্রয়োগ হয়। এটিই বলের ঘাত।
বাস্তব জীবনের উদাহরণ
ক্রিকেট খেলা: যখন ব্যাটসম্যান বল মারে, তখন ব্যাট বলের উপর অল্প সময়ের জন্য বল প্রয়োগ করে। এই বলের ঘাত বলের গতি এবং দিক পরিবর্তন করে, যার ফলে বল দূরে চলে যায়।
গাড়ির সংঘর্ষ: যখন দুটি গাড়ি সংঘর্ষ করে, তখন খুব অল্প সময়ের জন্য বিশাল বল কাজ করে। এই বলের ঘাত গাড়ির গতিবেগ পরিবর্তন করে।
জাম্পিং: তুমি যখন লাফ দাও, তখন মাটির উপর পা দিয়ে বল প্রয়োগ করো। এই বলের ঘাত তোমাকে উপরের দিকে উঠতে সাহায্য করে।
বলের ঘাতের গুরুত্ব
নিরাপত্তা: গাড়ির এয়ারব্যাগ বলের ঘাতের ধারণা ব্যবহার করে। সংঘর্ষের সময় এয়ারব্যাগ বল প্রয়োগের সময় বাড়িয়ে দেয়, ফলে বলের ঘাত কমে এবং আঘাতের ঝুঁকি কমে।
খেলাধুলা: ফুটবল, ক্রিকেট, বা টেনিসে বলের ঘাত বোঝা খেলোয়াড়দের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি বলের গতি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
পদার্থবিজ্ঞানে: বলের ঘাত সংঘর্ষ এবং ভরবেগ সংরক্ষণ বিশ্লেষণে ব্যবহৃত হয়।
উপসংহার
বলের ঘাত হলো কোনো বস্তুর উপর অল্প সময়ের জন্য প্রযুক্ত বলের প্রভাব, যা বল এবং সময়ের গুণফল। এটি একটি ভেক্টর রাশি এবং বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের সমান। এর মূল বৈশিষ্ট্য হলো:
এটি ভেক্টর রাশি এবং বলের দিকে নির্দেশ করে।
এটি ভরবেগের পরিবর্তন পরিমাপ করে।
এটি অল্প সময়ের বলের প্রভাব বোঝায়।
সহজ কথায়: বলের ঘাত যেন একটা ধাক্কার পরিমাণ, যা বস্তুর গতি পরিবর্তন করে। তুমি যখন ফুটবলকে লাথি মারো বা ক্রিকেট বল মারো, তখন তুমি বলের ঘাত তৈরি করছো। এটি পদার্থবিজ্ঞানের একটি মজার ধারণা, যা বাস্তব জীবনে প্রতিনিয়ত দেখা যায়!
See lessঘর্ষণ বল কি অসংরক্ষণশীল বল? ব্যাখ্যা কর।
ঘর্ষণ বল (Frictional Force) হলো একটি বল, যা দুটি বস্তুর মধ্যে আপেক্ষিক গতি প্রতিরোধ করতে কাজ করে। যখন দুটি বস্তু একে অপরের সাথে ঘর্ষণ করে, তখন তাদের মধ্যে শক্তির কিছু ক্ষতি হয় এবং সেই শক্তি সাধারণত তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, একটি বইকে টেবিলের উপর ঠেলা দিলে, বইটি টেবিলের সঙ্গে ঘর্ষণ তৈরRead more
ঘর্ষণ বল (Frictional Force) হলো একটি বল, যা দুটি বস্তুর মধ্যে আপেক্ষিক গতি প্রতিরোধ করতে কাজ করে। যখন দুটি বস্তু একে অপরের সাথে ঘর্ষণ করে, তখন তাদের মধ্যে শক্তির কিছু ক্ষতি হয় এবং সেই শক্তি সাধারণত তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, একটি বইকে টেবিলের উপর ঠেলা দিলে, বইটি টেবিলের সঙ্গে ঘর্ষণ তৈরি করে এবং এর গতি কমে যায়।
এখন, আমরা দেখতে পারি কেন ঘর্ষণ বল একটি অসংরক্ষণশীল বল (Non-conservative Force)।
ঘর্ষণ বল কেন একটি অসংরক্ষণশীল বল?
শক্তি তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়:
ঘর্ষণ বল কাজ করার সময়, বস্তুটির গতিশক্তি (kinetic energy) হারিয়ে যায় এবং তা তাপ শক্তিতে পরিণত হয়। একে শক্তির ক্ষতি বলা হয়, কারণ এই তাপ শক্তি পরিবেশে চলে যায় এবং ফিরে আসতে পারে না। অর্থাৎ, ঘর্ষণ বলের ফলে কাজ হওয়া শক্তি কখনোই সম্পূর্ণরূপে পুনরুদ্ধার করা যায় না।
উদাহরণস্বরূপ, একটি স্লাইডিং বই যখন থামে, তখন বইটির গতিশক্তি তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয় এবং তা ফেরত পাওয়া যায় না।
পথের উপর নির্ভর করে:
ঘর্ষণ বলের কাজ শুধুমাত্র বস্তুটির অবস্থান বা অবস্থা অনুযায়ী নয়, বরং পথের উপরও নির্ভর করে। অর্থাৎ, ঘর্ষণ বলের কাজ সেই পথে নির্ভর করবে, যেখানে বস্তুটি চলেছে। যদি দুইটি আলাদা পথের মধ্যে বস্তুটি চলে, তাহলে ঘর্ষণ বলের কাজও আলাদা হবে।
অন্যদিকে, সংরক্ষণশীল বল (যেমন, গুরত্বাকর্ষণ বল) শক্তি যেভাবে কাজ করেছে, তাতে সেই শক্তি ফেরত পাওয়া যায় এবং তা পথের উপর নির্ভর করে না।
গতি ধীর হতে থাকে এবং শক্তি ক্ষয় হয়:
যখন কোনো বস্তু ঘর্ষণের কারণে থেমে যায়, তখন তার গতিশক্তি ধীরে ধীরে কমে যায়। এই শক্তির কিছু অংশ তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে পরিবেশে ছড়িয়ে যায়। এর মানে হলো, ঘর্ষণ বল কখনোই শক্তিকে পুনরুদ্ধার করতে পারে না, যা একটি অসংরক্ষণশীল বলের বৈশিষ্ট্য।
অসংরক্ষণশীল বলের কার্যকারিতা:
ঘর্ষণ বলের কাজ সম্পূর্ণরূপে ফেরত পাওয়া সম্ভব নয়, কারণ এটি একটি অসংরক্ষণশীল বল। যখন কোনো বস্তু ঘর্ষণ বলের মাধ্যমে চলতে থাকে, তখন তার শক্তি তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে পরিবেশে চলে যায় এবং সেই শক্তি পুনরায় কাজে লাগানো যায় না।
উদাহরণ:
উদাহরণ ১:
ধরা যাক, একটি বই টেবিলের উপর দিয়ে স্লাইড হচ্ছে। যখন বইটি স্লাইড করে, তখন টেবিলের সাথে ঘর্ষণ সৃষ্টি হয়, যা বইটির গতি কমিয়ে দেয় এবং বইটি কিছু সময় পর থেমে যায়। এখানে বইটির গতিশক্তি তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে পরিবেশে চলে যায় এবং এটি ফিরে পাওয়া যায় না।
উদাহরণ ২:
এছাড়া, যখন একটি গাড়ি ব্রেক প্রয়োগ করে থামে, তখন ঘর্ষণ বল কাজ করে এবং গাড়ির গতির শক্তি তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে পরিবেশে ছড়িয়ে যায়। আবার এই তাপ শক্তি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়।
সংক্ষেপে:
ঘর্ষণ বল একটি অসংরক্ষণশীল বল, কারণ এটি কাজ করার সময় শক্তির কিছু অংশ তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয় এবং এই তাপ শক্তি পরিবেশে চলে যায়, যা ফেরত পাওয়া সম্ভব নয়।
সংরক্ষণশীল বল যেমন গুরত্বাকর্ষণ বল, শক্তি রূপান্তরের পরে শক্তিকে ফেরত নিতে পারে, কিন্তু ঘর্ষণ বল এটি করতে পারে না।
ঘর্ষণ বলের কাজ পথের উপর নির্ভর করে, এটি একটি অস্থির শক্তি রূপান্তরের প্রক্রিয়া যা পরিবেশে চলে যায়।