Join ProshnoUttor today! Ask, answer, and share knowledge—earn points, revenue, and rewards while learning with a global community. Sign up now and start your journey!
Welcome back to ProshnoUttor! Log in to explore, contribute, and earn rewards while learning with our global community. Let’s get started!
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
রাসায়নিক সাম্যাবস্থা গতিশীল ব্যাখ্যা কর।
রাসায়নিক সাম্যাবস্থা হলো একটি বিপরীতমুখী রাসায়নিক বিক্রিয়ার এমন অবস্থা, যেখানে অগ্রবর্তী বিক্রিয়া (বিক্রিয়ক থেকে উৎপাদ গঠন) এবং পশ্চাৎবর্তী বিক্রিয়া (উৎপাদ থেকে বিক্রিয়ক পুনর্গঠন) একই হারে সংঘটিত হয়। এই অবস্থায় বিক্রিয়ক এবং উৎপাদের ঘনমাত্রা সময়ের সাথে অপরিবর্তিত থাকে, কিন্তু বিক্রিয়া সম্Read more
রাসায়নিক সাম্যাবস্থা হলো একটি বিপরীতমুখী রাসায়নিক বিক্রিয়ার এমন অবস্থা, যেখানে অগ্রবর্তী বিক্রিয়া (বিক্রিয়ক থেকে উৎপাদ গঠন) এবং পশ্চাৎবর্তী বিক্রিয়া (উৎপাদ থেকে বিক্রিয়ক পুনর্গঠন) একই হারে সংঘটিত হয়। এই অবস্থায় বিক্রিয়ক এবং উৎপাদের ঘনমাত্রা সময়ের সাথে অপরিবর্তিত থাকে, কিন্তু বিক্রিয়া সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয় না। এটি গতিশীল সাম্যাবস্থা হিসেবে পরিচিত, কারণ বিক্রিয়ার অণুগুলো ক্রমাগত রূপান্তরিত হয়, তবে ম্যাক্রোস্কোপিক স্তরে কোনো দৃশ্যমান পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় না। বাংলাদেশের রসায়ন পাঠ্যপুস্তকের (এইচএসসি স্তর) ভিত্তিতে এটি শিক্ষার্থীদের জন্য অনুধাবনমূলকভাবে নিম্নরূপে ব্যাখ্যা করা যায়:
গতিশীল সাম্যাবস্থার বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
গতিশীল সাম্যাবস্থা শুধুমাত্র বিপরীতমুখী বিক্রিয়ায় (reversible reaction) ঘটে, যেখানে বিক্রিয়ক উৎপাদে এবং উৎপাদ বিক্রিয়কে রূপান্তরিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ:
H₂(g) + I₂(g) ⇌ 2HI(g)
এখানে অগ্রবর্তী বিক্রিয়ায় হাইড্রোজেন এবং আয়োডিন থেকে হাইড্রোজেন আয়োডাইড গঠিত হয়, এবং পশ্চাৎবর্তী বিক্রিয়ায় হাইড্রোজেন আয়োডাইড পচন করে হাইড্রোজেন ও আয়োডিনে রূপান্তরিত হয়। সাম্যাবস্থায় উভয় বিক্রিয়া একই হারে চলে।
সাম্যাবস্থায় অগ্রবর্তী বিক্রিয়ার হার (r_f) এবং পশ্চাৎবর্তী বিক্রিয়ার হার (r_b) সমান হয়, অর্থাৎ r_f = r_b। এর ফলে বিক্রিয়ক এবং উৎপাদের ঘনমাত্রা আর পরিবর্তিত হয় না। উদাহরণস্বরূপ, N₂ + 3H₂ ⇌ 2NH₃ বিক্রিয়ায়, সাম্যাবস্থায় নাইট্রোজেন ও হাইড্রোজেন থেকে অ্যামোনিয়া গঠনের হার এবং অ্যামোনিয়া থেকে নাইট্রোজেন ও হাইড্রোজেনে পচনের হার সমান হয়।
গতিশীল সাম্যাবস্থায় বিক্রিয়ক এবং উৎপাদের ঘনমাত্রা সময়ের সাথে অপরিবর্তিত থাকে। এটি বোঝায় না যে বিক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেছে। বরং, অগ্রবর্তী ও পশ্চাৎবর্তী বিক্রিয়ার সমান হারের কারণে নেট পরিবর্তন শূন্য হয়। উদাহরণস্বরূপ, একটি বন্ধ পাত্রে CO(g) + 2H₂(g) ⇌ CH₃OH(g) বিক্রিয়ায়, সাম্যাবস্থায় CO, H₂ এবং CH₃OH-এর ঘনমাত্রা স্থির থাকে।
গতিশীল সাম্যাবস্থার মূল বৈশিষ্ট্য হলো এর গতিশীল প্রকৃতি। এটি একটি স্থির অবস্থা নয়; বরং, অণুগুলো ক্রমাগত বিক্রিয়ায় অংশ নিচ্ছে। এটিকে একটি দৃষ্টান্ত দিয়ে বোঝানো যায়: ধরা যাক, একটি বন্ধ পাত্রে পানি এবং বাষ্প সাম্যাবস্থায় আছে (H₂O(l) ⇌ H₂O(g))। এখানে পানি থেকে বাষ্পে রূপান্তর এবং বাষ্প থেকে পানিতে ঘনীভবন একই হারে ঘটছে। ফলে পানি ও বাষ্পের পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকে, কিন্তু অণুগুলো ক্রমাগত রূপান্তরিত হচ্ছে।
গতিশীল সাম্যাবস্থা শুধুমাত্র বন্ধ পদ্ধতিতে (closed system) ঘটে, যেখানে বিক্রিয়ক বা উৎপাদ পদ্ধতির বাইরে যায় না বা বাইরে থেকে যোগ হয় না। উদাহরণস্বরূপ, একটি সিল করা পাত্রে রাসায়নিক বিক্রিয়া সাম্যাবস্থায় পৌঁছাতে পারে, কিন্তু খোলা পাত্রে বাষ্পীয় উৎপাদ বেরিয়ে গেলে সাম্যাবস্থা অর্জিত হয় না।
গতিশীল সাম্যাবস্থা তাপমাত্রা, চাপ, এবং ঘনমাত্রার উপর নির্ভর করে। ল্য শাতেলিয়র নীতি অনুসারে, এই অবস্থাগুলোর পরিবর্তন সাম্যাবস্থাকে নতুন অবস্থানে স্থানান্তরিত করে। উদাহরণস্বরূপ:
সাম্যাবস্থায় ফ্রি এনার্জি পরিবর্তন (ΔG) শূন্য হয়, অর্থাৎ ΔG = 0। এটি বোঝায় যে বিক্রিয়া শক্তিগতভাবে স্থিতিশীল অবস্থায় পৌঁছেছে। এছাড়া, এনথালপি (ΔH) এবং এনট্রপি (ΔS) মান স্থির থাকে।
উদাহরণ:
অ্যামোনিয়া সংশ্লেষণে (N₂ + 3H₂ ⇌ 2NH₃), সাম্যাবস্থায় নাইট্রোজেন ও হাইড্রোজেন থেকে অ্যামোনিয়া গঠন এবং অ্যামোনিয়ার পচন একই হারে ঘটে। ফলে N₂, H₂ এবং NH₃-এর ঘনমাত্রা স্থির থাকে।
অ্যাসিটিক অ্যাসিড (CH₃COOH) পানিতে আংশিকভাবে আয়নীভূত হয়:
CH₃COOH ⇌ CH₃COO⁻ + H⁺
সাম্যাবস্থায় আয়নীকরণ এবং পুনরায় সমন্বয়ের হার সমান হয়, ফলে আয়ন এবং অণুর ঘনমাত্রা অপরিবর্তিত থাকে।
রক্তে হিমোগ্লোবিন (Hb) এবং অক্সিজেনের মধ্যে সাম্যাবস্থা গতিশীল:
Hb + O₂ ⇌ HbO₂
এখানে অক্সিজেনের সংযোজন এবং বিচ্ছেদ একই হারে ঘটে।
গতিশীল সাম্যাবস্থার বৈশিষ্ট্য (সংক্ষেপে):
গুরুত্ব ও প্রয়োগ:
অনুধাবনমূলক ব্যাখ্যা:
গতিশীল সাম্যাবস্থা একটি গতিশীল প্রক্রিয়া, যেখানে বিক্রিয়া চলমান থাকে, কিন্তু বাহ্যিকভাবে কোনো পরিবর্তন দৃশ্যমান হয় না। এটি শিক্ষার্থীদের বোঝার জন্য একটি দৈনন্দিন উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়: ধরা যাক, একটি বাসে যাত্রী ওঠা এবং নামার হার সমান হয়ে গেছে, ফলে বাসে যাত্রীর সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকে। তবুও যাত্রীরা ওঠানামা করছে। ঠিক তেমনি, রাসায়নিক সাম্যাবস্থায় অণুগুলো ক্রমাগত বিক্রিয়ায় অংশ নেয়, কিন্তু ঘনমাত্রা স্থির থাকে।
উপসংহার:
রাসায়নিক সাম্যাবস্থা গতিশীল কারণ এটি বিপরীতমুখী বিক্রিয়ায় অগ্রবর্তী ও পশ্চাৎবর্তী বিক্রিয়ার হারের সমতার মাধ্যমে ঘনমাত্রা অপরিবর্তিত রাখে, তবে অণুস্তরে বিক্রিয়া অব্যাহত থাকে। এটি রাসায়নিক প্রক্রিয়ার ভারসাম্য বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং শিল্প, জৈব রসায়ন, এবং পরিবেশ রসায়নে ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করা হয়।
মৃৎ ক্ষার ধাতু কাকে বলে?
মৃৎ ক্ষার ধাতু হলো পর্যায় সারণির দ্বিতীয় গ্রুপভুক্ত ধাতুসমূহ, যেগুলোর পারমাণবিক গাঠনিক গুণাবলি ও রাসায়নিক ধর্ম একে অপরের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। এদের অক্সাইড মাটিতে পাওয়া যায় এবং পানি যুক্ত হলে ক্ষারীয় (alkaline) ধর্ম প্রদর্শন করে, এজন্য এগুলোকে "মৃৎ ক্ষার ধাতু" (Alkaline Earth Metals) বলা হয়। এইRead more
মৃৎ ক্ষার ধাতু হলো পর্যায় সারণির দ্বিতীয় গ্রুপভুক্ত ধাতুসমূহ, যেগুলোর পারমাণবিক গাঠনিক গুণাবলি ও রাসায়নিক ধর্ম একে অপরের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। এদের অক্সাইড মাটিতে পাওয়া যায় এবং পানি যুক্ত হলে ক্ষারীয় (alkaline) ধর্ম প্রদর্শন করে, এজন্য এগুলোকে “মৃৎ ক্ষার ধাতু” (Alkaline Earth Metals) বলা হয়।
এই শ্রেণিভুক্ত মৌলগুলো হলো:
বিশ্লেষণ:
উদাহরণস্বরূপ:
ক্যালসিয়াম অক্সাইড (CaO) পানি যুক্ত হলে ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড (Ca(OH)₂) তৈরি করে, যা একটি ক্ষারীয় দ্রবণ:
CaO + H₂O → Ca(OH)₂
এই ধর্মগুলোর কারণে এদের “মৃৎ ক্ষার ধাতু” নামে পরিচিত করা হয়েছে।
See less'F' সর্বাপেক্ষা তড়িৎ ঋণাত্মক মৌল- ব্যাখ্যা কর।
তড়িৎ ঋণাত্মকতা (Electronegativity) হলো, একটি মৌলের পরমাণু তার যৌগে বাঁধনযুক্ত ইলেকট্রনকে নিজের দিকে আকর্ষণ করার ক্ষমতা। 🧪 ফ্লোরিন সর্বাধিক তড়িৎ ঋণাত্মক কেন? কারণ ব্যাখ্যা 🔹 ছোট পরমাণু ব্যাসার্ধ ফ্লোরিনের পরমাণুর ব্যাসার্ধ অনেক ছোট, ফলে কেন্দ্র ইলেকট্রনকে শক্তভাবে আকর্ষণ করে। 🔹 ইলেকট্রন বিন্যাস ফ্লোরRead more
তড়িৎ ঋণাত্মকতা (Electronegativity) হলো, একটি মৌলের পরমাণু তার যৌগে বাঁধনযুক্ত ইলেকট্রনকে নিজের দিকে আকর্ষণ করার ক্ষমতা।
🧪 ফ্লোরিন সর্বাধিক তড়িৎ ঋণাত্মক কেন?
⚖️ ফ্লোরিনের তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান:
৩.৯৮ (পলিং স্কেল অনুযায়ী)
এটি সকল মৌলের মধ্যে সর্বোচ্চ।
💡 উপসংহার:
ফ্লোরিন তার ছোট পরমাণু ব্যাসার্ধ, উচ্চ নিউক্লিয়াস টান, ও অক্টেট পূরণের প্রবণতা থাকার কারণে সর্বাপেক্ষা তড়িৎ ঋণাত্মক মৌল হিসেবে পরিচিত।
📌 মনে রাখার কৌশল (নোট):
ফ্লোরিন = সবচেয়ে ছোট হ্যালোজেন
বাইরের শেলে ৭টি ইলেকট্রন
১টি ইলেকট্রন পেলে অক্টেট পূর্ণ হয়
তাই ইলেকট্রন আকর্ষণ করার ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি → সর্বাধিক তড়িৎ ঋণাত্মক
'F' সর্বাপেক্ষা তড়িৎ ঋণাত্মক মৌল- ব্যাখ্যা কর।
‘F’ অর্থাৎ ফ্লোরিন (Fluorine) হলো আধুনিক পর্যায় সারণির সর্বাপেক্ষা তড়িৎ ঋণাত্মক মৌল। এর মান ৩.৯৮, যা সব মৌলের মধ্যে সর্বোচ্চ। 🔬 তড়িৎ ঋণাত্মকতা (Electronegativity) কী? তড়িৎ ঋণাত্মকতা হলো কোনো পরমাণুর যৌগ গঠনের সময় বন্ধনযুক্ত ইলেকট্রনকে আকর্ষণ করার ক্ষমতা। 🧪 ফ্লোরিন সর্বোচ্চ তড়িৎ ঋণাত্মক কেন? ছোট পরমাRead more
‘F’ অর্থাৎ ফ্লোরিন (Fluorine) হলো আধুনিক পর্যায় সারণির সর্বাপেক্ষা তড়িৎ ঋণাত্মক মৌল। এর মান ৩.৯৮, যা সব মৌলের মধ্যে সর্বোচ্চ।
🔬 তড়িৎ ঋণাত্মকতা (Electronegativity) কী?
তড়িৎ ঋণাত্মকতা হলো কোনো পরমাণুর যৌগ গঠনের সময় বন্ধনযুক্ত ইলেকট্রনকে আকর্ষণ করার ক্ষমতা।
🧪 ফ্লোরিন সর্বোচ্চ তড়িৎ ঋণাত্মক কেন?
ছোট পরমাণু ব্যাসার্ধ:
ফ্লোরিনের পরমাণুর আকার ছোট, তাই কেন্দ্র থেকে ইলেকট্রন বেশি আকৃষ্ট হয়।
ইলেকট্রন বিন্যাস:
ফ্লোরিনের ইলেকট্রন সংখ্যা ৯ এবং এর বাইরের কক্ষে ৭টি ইলেকট্রন থাকে। এটি সহজেই আরেকটি ইলেকট্রন গ্রহণ করে অক্টেট পূর্ণ করে।
নিউক্লিয়াসের শক্তিশালী আকর্ষণ:
ছোট ব্যাসার্ধের কারণে নিউক্লিয়াস ইলেকট্রনের ওপর বেশি টান সৃষ্টি করে।
শক্তিশালী ইলেকট্রন আকর্ষণ প্রবণতা:
ফ্লোরিন যে কোনো যৌগে বন্ধনের ইলেকট্রনকে নিজের দিকে জোরালোভাবে টানতে পারে।
📘 উপসংহার:
ফ্লোরিনের ছোট আকার, উচ্চ পারমাণবিক আর্কষণ এবং অক্টেট পূরণের প্রবণতার কারণে এটি সর্বোচ্চ তড়িৎ ঋণাত্মক মৌল হিসেবে পরিচিত।
See lessআয়ত একক ভেক্টর কাকে বলে?
আয়ত একক ভেক্টর হলো একটি ভেক্টর যার মাত্রা বা পরিমাণ 1 একক। এটি একটি মানদণ্ড বা রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হয় অন্যান্য ভেক্টরের তুলনা করার জন্য। আয়ত একক ভেক্টরকে সাধারণত একটি ছোট হাতের অক্ষর দ্বারা প্রকাশ করা হয়, যেমন: i, j, k ইত্যাদি। এই ভেক্টরগুলোকে একটি ত্রি-মাত্রিক স্থানের মধ্যে একটি দিক নিRead more
আয়ত একক ভেক্টর হলো একটি ভেক্টর যার মাত্রা বা পরিমাণ 1 একক। এটি একটি মানদণ্ড বা রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হয় অন্যান্য ভেক্টরের তুলনা করার জন্য।
আয়ত একক ভেক্টরকে সাধারণত একটি ছোট হাতের অক্ষর দ্বারা প্রকাশ করা হয়, যেমন: i, j, k ইত্যাদি। এই ভেক্টরগুলোকে একটি ত্রি-মাত্রিক স্থানের মধ্যে একটি দিক নির্দেশ করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
আয়ত একক ভেক্টরের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে:
আয়ত একক ভেক্টরের কিছু উদাহরণ হলো:
আয়ত একক ভেক্টর ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন গাণিতিক এবং পদার্থবিজ্ঞানের সমস্যায়, যেমন:
আয়ত একক ভেক্টর ব্যবহার করে আমরা বিভিন্ন জ্যামিতিক এবং পদার্থবিজ্ঞানের সমস্যায় সমাধান করতে পারি। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
See lessগ্যাসের বেগ নির্ণয়ে r. m. s. বেগ নেওয়া হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ্যাসের অণুগুলো বিভিন্ন দিকে ভিন্ন ভিন্ন বেগে চলে। সরল গড় বেগ নিলে কিছু বেগ ধনাত্মক ও কিছু ঋণাত্মক হওয়ায় গড় বেগ শূন্য হতে পারে, যা বাস্তবসম্মত নয়। এই সমস্যা এড়াতে r.m.s. বেগ (বেগের বর্গের গড়ের বর্গমূল) নেওয়া হয়, কারণ এটি সবসময় ধনাত্মক হয় এবং গ্যাসের প্রকৃত গতি ও শক্তির ভালো ধারণা দেয়। তাই গ্যাসের বেRead more
গ্যাসের অণুগুলো বিভিন্ন দিকে ভিন্ন ভিন্ন বেগে চলে। সরল গড় বেগ নিলে কিছু বেগ ধনাত্মক ও কিছু ঋণাত্মক হওয়ায় গড় বেগ শূন্য হতে পারে, যা বাস্তবসম্মত নয়।
এই সমস্যা এড়াতে r.m.s. বেগ (বেগের বর্গের গড়ের বর্গমূল) নেওয়া হয়, কারণ এটি সবসময় ধনাত্মক হয় এবং গ্যাসের প্রকৃত গতি ও শক্তির ভালো ধারণা দেয়। তাই গ্যাসের বেগ নির্ণয়ে r.m.s. বেগ ব্যবহার করা হয়।
See lessআপেক্ষিক আর্দ্রতা কাকে বলে?
আপেক্ষিক আর্দ্রতা হলো বাতাসের আর্দ্রতার একটি পরিমাপ, যা বাতাসের মধ্যে উপস্থিত জলীয় বাষ্পের পরিমাণকে তার সর্বোচ্চ ক্ষমতার সাথে তুলনা করে। এটি সাধারণত শতাংশ হিসাবে প্রকাশ করা হয়। আপেক্ষিক আর্দ্রতা গণনা করা হয় নিম্নরূপ: আপেক্ষিক আর্দ্রতা = (বাতাসে উপস্থিত জলীয় বাষ্পের পরিমাণ / বাতাসের সর্বোচ্চ ক্ষমRead more
আপেক্ষিক আর্দ্রতা হলো বাতাসের আর্দ্রতার একটি পরিমাপ, যা বাতাসের মধ্যে উপস্থিত জলীয় বাষ্পের পরিমাণকে তার সর্বোচ্চ ক্ষমতার সাথে তুলনা করে। এটি সাধারণত শতাংশ হিসাবে প্রকাশ করা হয়।
আপেক্ষিক আর্দ্রতা গণনা করা হয় নিম্নরূপ:
আপেক্ষিক আর্দ্রতা = (বাতাসে উপস্থিত জলীয় বাষ্পের পরিমাণ / বাতাসের সর্বোচ্চ ক্ষমতা) × 100
উদাহরণস্বরূপ, যদি বাতাসের মধ্যে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ 60 গ্রাম/ঘনমিটার এবং বাতাসের সর্বোচ্চ ক্ষমতা 80 গ্রাম/ঘনমিটার হয়, তাহলে আপেক্ষিক আর্দ্রতা হবে:
আপেক্ষিক আর্দ্রতা = (60 / 80) × 100 = 75%
এর মানে হলো যে বাতাসের মধ্যে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ তার সর্বোচ্চ ক্ষমতার 75%।
আপেক্ষিক আর্দ্রতা বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থা বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি বৃষ্টিপাত, আবহাওয়া পূর্বাভাস এবং বায়ুমণ্ডলীয় গবেষণার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
See lessভরবেগ ও গতিশক্তির মধ্যে সম্পর্ক লেখচিত্র দিয়ে ব্যাখ্যা কর।
সংজ্ঞা: ১. ভরবেগ (Momentum): কোনো বস্তুর ভর (m) ও বেগ (v) এর গুণফলকে ভরবেগ (p) বলে। সূত্র: p=m⋅vp=m⋅v একক: kg·m/s (কেজি·মিটার/সেকেন্ড)। ২. গতিশক্তি (Kinetic Energy): গতিসম্পন্ন কোনো বস্তুর কাজ করার সামর্থ্যকে গতিশক্তি (K) বলে। সূত্র: K=12mv2K=21mv2 একক: জুল (J)। সম্পর্কের গাণিতিক ব্যাখ্যা: ভরবেগ (pRead more
সংজ্ঞা:
১. ভরবেগ (Momentum):
কোনো বস্তুর ভর (m) ও বেগ (v) এর গুণফলকে ভরবেগ (p) বলে।
সূত্র:
p=m⋅v
একক: kg·m/s (কেজি·মিটার/সেকেন্ড)।
২. গতিশক্তি (Kinetic Energy):
গতিসম্পন্ন কোনো বস্তুর কাজ করার সামর্থ্যকে গতিশক্তি (K) বলে।
সূত্র:
K=21mv2
একক: জুল (J)।
সম্পর্কের গাণিতিক ব্যাখ্যা:
ভরবেগ (p) ও গতিশক্তি (K) এর মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয় করতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করা হয়:
১. ভরবেগের সূত্র: p=mv → v=mp
২. গতিশক্তির সূত্রে v এর মান বসিয়ে পাই:
K=21m(mp)2=2mp2
∴ সম্পর্কের সূত্র:
K=2mp2
লেখচিত্রের মাধ্যমে ব্যাখ্যা:
ভরবেগ (p) ও গতিশক্তি (K) এর সম্পর্ক একটি পরাবৃত্ত (Parabola) দ্বারা দেখানো যায়।
(লেখচিত্রের বর্ণনা: ভরবেগ vs গতিশক্তির লেখচিত্রটি একটি পরাবৃত্ত আকৃতির, যেখানে ভর বাড়লে বক্ররেখা সমতল হয়।)
উদাহরণ:
যদি একটি বস্তুর ভর m=2kg এবং ভরবেগ p=4kg\cdotpm/s হয়,
তাহলে গতিশক্তি:
K=2×2(4)2=416=4J
সারসংক্ষেপ:
এই ব্যাখ্যাটি বাংলাদেশের মাধ্যমিক পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের (যেমন: নবম-দশম শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান) সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
See lessপ্রত্যয়নী বল কী?
প্রত্যয়নী বল হলো একটি বল যা একটি বস্তুকে তার কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করে, যখন বস্তুটি একটি বৃত্তাকার পথে ঘূর্ণন করে। ব্যাখ্যা: প্রত্যয়নী বল হলো একটি অনুভূমিক বল যা একটি বস্তুকে তার কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করে, যখন বস্তুটি একটি বৃত্তাকার পথে ঘূর্ণন করে। এই বলটি বস্তুটিকে তার কেন্দ্রের দিকে টেনে রাখে, যাতRead more
প্রত্যয়নী বল হলো একটি বল যা একটি বস্তুকে তার কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করে, যখন বস্তুটি একটি বৃত্তাকার পথে ঘূর্ণন করে।
ব্যাখ্যা: প্রত্যয়নী বল হলো একটি অনুভূমিক বল যা একটি বস্তুকে তার কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করে, যখন বস্তুটি একটি বৃত্তাকার পথে ঘূর্ণন করে। এই বলটি বস্তুটিকে তার কেন্দ্রের দিকে টেনে রাখে, যাতে বস্তুটি তার বৃত্তাকার পথে ঘূর্ণন করতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, যখন একটি গাড়ি একটি বাঁকে যায়, তখন গাড়ির উপর একটি প্রত্যয়নী বল কাজ করে, যা গাড়িকে তার বৃত্তাকার পথে ঘূর্ণন করতে সাহায্য করে।
সূত্র: প্রত্যয়নী বলের সূত্র হলো: F = (m × v^2) / r, যেখানে m হলো বস্তুর ভর, v হলো বস্তুর গতি, এবং r হলো বস্তুর কেন্দ্রের দূরত্ব।
See lessসংরক্ষণশীল বল কাকে বলে?
সংরক্ষণশীল বল হলো এক ধরনের বল যা কোনো বস্তুর উপর ক্রিয়া করলে সেই বস্তুর গতিশক্তি বা স্থিতিশক্তির কোনো পরিবর্তন ঘটায় না। অর্থাৎ, সংরক্ষণশীল বল কোনো বস্তুর মোট শক্তির পরিমাণ পরিবর্তন করে না। সংরক্ষণশীল বলের উদাহরণ হলো: মহাকর্ষ বল: মহাকর্ষ বল হলো এক ধরনের সংরক্ষণশীল বল যা দুটি বস্তুর মধ্যে ক্রিয়া করRead more
সংরক্ষণশীল বল হলো এক ধরনের বল যা কোনো বস্তুর উপর ক্রিয়া করলে সেই বস্তুর গতিশক্তি বা স্থিতিশক্তির কোনো পরিবর্তন ঘটায় না। অর্থাৎ, সংরক্ষণশীল বল কোনো বস্তুর মোট শক্তির পরিমাণ পরিবর্তন করে না।
সংরক্ষণশীল বলের উদাহরণ হলো:
সংরক্ষণশীল বলের বৈশিষ্ট্য হলো:
সংরক্ষণশীল বলের গুরুত্ব হলো: